প্রায় দু-বছর আগে বিয়ে হয়েছে। মাস ছয়েক আগে আত্মীয় মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে আসে স্ত্রী। কিন্তু তার পর থেকেই আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যায়নি স্ত্রী। স্বামীর দাবি, তিনি স্ত্রীকে অনেক বার বাড়িতে ফেরার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু কিছুতেই ফিরতে রাজি হননি স্ত্রী। তাই উপায় না দেখে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন স্বামী। প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্নায় বসেছিলেন তিনি। সেই দৃশ্য থেকে স্থানীয়রাও এসে ভিড় জমান সেখানে।
জানা গিয়েছে প্রায় দু-বছর আগে পিংলার জামানার বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয় মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার অন্তর্গত আনন্দপুরের যুবক পীযুশ চক্রবর্তী। এর পর তাদের বেশ সুখে শান্তিতেই সাংসারিক জীবন চলছিল। গত ছয় মাস আগে বধূ তাঁর বাপের বাড়িতে কোনও এক নিকট পরিজন গত হয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে আসেন। তার পর থেকে সেই বধূ আর ফিরে যাননি স্বামীর বাড়িতে। এমনটাই অভিযোগ। এ দিকে স্বামী তাঁর বউকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য নানা অনুনয় বিনয় করলেও তার প্রস্তাবে নারাজ হয়ে কোনওমতে ফিরে আসতে রাজি হননি বধূ।
শেষ পর্যন্ত নিজের স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নাছোড়বান্দা স্বামী রবিবার প্রায় সকাল নটা নাগাদ পিংলার জামনায় শ্বশুরবাড়ির সামনে এসে হাতে প্লাকাড নিয়ে ধর্ণায় বসেন। এ ঘটনা চাউর হতেই আশেপাশের উৎসুক মানুষেরা এসে এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন। ঘটনার খবর থানাতে পৌঁছলে ইতিমধ্যেই পিংলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন