৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক আদালতের এক রায়ে চাকরি হারিয়েছেন। মূলত যে দু-টি কারণে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ এই ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে, তার একটি অপ্রশিক্ষণ। দ্বিতীয়, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না হওয়া। যদিও এ নিয়ে ইতিমধ্যেই চাকরিহারাদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সেই ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা এক স্বেচ্ছাবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিত্যানন্দ পাল জানিয়েছেন, আদালতের রায় একেবারেই ঠিক পথে এগিয়েছে।
প্রশিক্ষিত না হওয়া, আপ্টিটিউড টেস্ট না নেওয়া-সহ নানাবিধ অভিযোগে এই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযোগ, সেই টেটেই শিলিগুড়িতে প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতে শিক্ষকদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বর্তমানে ওষুধ ব্যবসায়ীকে বোর্ডে নিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। নিত্যানন্দ পালের দাবি, "অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের বালাই ছিল না। আমাদের কাছে সে পরিকাঠামো দেওয়াই হয়নি। এই টেস্টের জন্য তো চক, ডাস্টার, ব্ল্যাক বোর্ড লাগে। সেসবও ছিল না।" একইসঙ্গে নিত্যানন্দ বলেন, "আমরা জানতাম প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ থাকা আবশ্যক। কিন্তু যাঁরা ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন তাঁদের কারও প্রশিক্ষণ ছিল না।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন