প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় ফের তদন্তকারীদের নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি বলেন, টাকার বিনিময়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের টাকার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? প্রশ্ন ও উত্তর কমপিউটারে বসানো। কেবলমাত্র নাম বদল করা হয়েছ। সিটের সদস্য নন এমন অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এটা কী ধরনের তদন্ত?বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মাত্র ৪ জন টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
বঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যত কেস ডাইরি দেখছেন ততই অবাক হচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অনিয়ম করে চাকরি পেয়েছেন ৪ জন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অথচ তাদের কাছে রাখা প্রশ্নে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি রাখা হয়নি। একজন ডিএসপি জিজ্ঞাসাবাদ করছেন অথচ তিনি সিট-এর সদস্য নন। সিটের সদস্য নন এমন একজন কীভাবে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসবাদ করছেন ও বয়ান রেকর্ড করছেন। এসব দেখে অবাক হয়ে যান বিচারপতি। আগামী ৪ অক্টোবর শুনানিতে সিবিআই আধিকারিককে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে। ভার্চুয়ালি শুনানিতে তিনি হাজির থাকবেন। তদন্তের এমন অগ্রগতি কেন তার জবাব তিনি দেবেন। তার আগে ২৭ সেপ্টেম্বর সিটের প্রধান আদালতে হাজিরা দিয়ে তার বক্তব্য রাখবেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, মানুষকে বোকা বানানোই কি সিবিআইয়ের কাজ? সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। কিন্তু তাতে কী হল? এই মামলায় আর কোনও আধিকারিকের প্রয়োজন নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে ৪ জনের বিরুদ্ধে টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের যে গ্রেফতার করা হয়নি তা মনে করিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ওই চারজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তারপর তাদের গ্রেফতার করা হয়। পর্যদ ডিজিটাইজড ওএমআর শিট বলে যা দিচ্ছে তা হাতে টাইপ করা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন