চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া সংক্রান্ত রাজ্যের সিদ্ধান্ত এবার প্রশ্নের মুখে। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, এত তাড়াহুড়ো কিসের? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কোনও রকম আলোচনা বা স্ক্রুটিনি ছাড়াই কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, রাজ্যের কাছে তা জানতে চান। মৌখিক ভাবে এটি বন্ধ রাখার কথাও বলেন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার জানানোর কথা বললে বিচারপতি সিংহ জানান। ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে আন্দোলনে নামেন গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মীরাও। যার প্রেক্ষিতে শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক করে রাজ্য সরকার। ওই বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ একাধিক সরকারি আমলা উপস্থিত ছিলেন। টেলিফোন মারফত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয় চাকরিহারাদের। তখনই গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আপাতত গ্রুপ সি কর্মীদের রাজ্য সরকার প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা করে দেবে। আদালতে চাকরি বাতিলের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ভাতা দেবে রাজ্য। পরে সরকারের তরফে এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ইতিমধ্যেই প্রথম মাসের টাকা পেয়ে গিয়েছেন গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন