পরীক্ষার্থীদের জন্য ভাল খবর। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা রয়েছে। সেই কারণে হাওড়া ডিভিশনে ২০টি এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪০টি ট্রেন বাড়ানো হবে। যদিও এই বাড়তি ট্রেন পরীক্ষা শেষেও চালু থাকবে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। হাওড়ায় এই মুহূর্তে দেড়শোর উপরে ট্রেন চলছে। বাড়তি ট্রেন চালানোয় ওই দিন থেকে ১৯০টির বেশি ট্রেন চলবে রোজ।
আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন দিল্লি গেলে সময় পেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন তাঁকে সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক কবে, কখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হবে তা না জানালেও এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন দিল্লি গেলে তাঁর সঙ্গে দেখা হবে প্রধানমন্ত্রীর। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "দু-তিন দিনের জন্য নয়াদিল্লি যাব।
ফের রাজ্যে চালু হতে চলেছে 'দুয়ারে সরকার' ক্যাম্প। আগামী ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফের ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে একাধিক প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারবেন আমজনতা। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে সেপ্টেম্বর থেকেই সুবিধা পাওয়া যাবে। কিন্তু তার আগে আবেদন পত্র নিতে হবে। সেই আবেদন পত্র নেওয়ার জন্য ফের দুয়ারে আসছে সরকার। আগামী ১৬ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর দুয়ারে সরকার চলবে। সেখানে মা-বোনেরা তাঁদের আবেদনপত্র গুলো জমা দেবেন যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে চান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপসিলি ও আদিবাসীদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে হাত খরচ দেওয়া হবে। যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে তা দেখালেও হবে, তবে সঙ্গে দরখাস্ত নিয়ে যাবেন।"
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সব ধরনের প্রকল্পে যে কোনও ধরনের সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্যই ফের নতুন করে দুয়ারে সরকারের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
শিক্ষকদের জন্য নয়া প্রকল্প 'উৎসশ্রী' আনল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের ক্যাবিনেটে বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। কী রয়েছে এই প্রকল্পে?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উৎসশ্রী নামে একটি পোর্টাল চালু করছে রাজ্য। বাড়ির কাছে বদলি চাইলে শিক্ষকরা এই পোর্টালে আবেদন করতে পারবেন। কবে থেকে এই প্রকল্প চালু হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
তিনি বলেন, "শিক্ষকদের জন্য চালু হচ্ছে উৎসশ্রী প্রকল্প।
প্রসঙ্গত, নিজের জেলা বা নিজের বাড়ির কাছে বদলি চান বহু শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বহুদিন ধরে বিষয়টি আটকে ছিল বলে খবর। এবার সেই আবেদন খতিয়ে দেখতে প্রকল্প চালু করছে রাজ্যে।
করোনা পরিস্থিতিতে মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও নেওয়া হয়নি। বিশেষ পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে। আজ সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হল। পাসের হার ৯৭.৬৯ শতাংশ। ঘোষণা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের। প্রথম দশের মধ্যে আছে ৮৬ জন পড়ুয়া। ৫০০-য় সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রী এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে বলে জানালেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি মহুয়া দাস।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ঘোষণা করেন,'মোট ছাত্রছাত্রী ৮ লক্ষ ১৯ হাজার ২০২ জন। পাশের হার ৯৭.৬৯%। ছাত্রদের পাশে হার ৯৭.৭০%। প্রায় সমান পাশের হার ছাত্রীদের। রাজ্যের সমস্ত জেলায় পাশের হার ৯০ শতাংশের বেশি। ফাস্ট ডিভিশন বা তার বেশি নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রী ৬০%। যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কম। কলা বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৭.৩৯ শতাংশ। ৯৯.২৮ শতাংশ উত্তীর্ণ বিজ্ঞান বিভাগে। বাণিজ্য বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৯.৮ শতাংশ। প্রথম দশে আছে ৮৬ জন পড়ুয়া। ৫০০-য় সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। এবার এককভাবে প্রথম হয়েছেন মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রী।'
সম্প্রতি পর্ন ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রা। যা নিয়ে তোলপাড় বি-টাউন। রাজকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ। এবার রাজের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আদলতে সরব হলেন আইনজীবী আবেদ পোণ্ডা। আইনজীবী জানান, দর্শকরা যদি সরাসরি যৌন মিলন বা সঙ্গমরত অবস্থায় পর্দায় কোনও যুগলকে দেখতে পান তবেই সেটাকে পর্ন বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। না হলে অন্য ভিডিও 'ভালগার' বা অশ্লীল ভিডিও বলে গণ্য হবে।
এবার আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে ওবিসি সংরক্ষণের আওতায় আনার পদক্ষেপ নিতে পারে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ওবিসিভুক্ত জনগোষ্ঠীর জন্য বার্ষিক আয়ের সীমা কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে দেশে ওবিসি ক্যাটেগরির যাঁদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষের কম তাঁরাই সংরক্ষণের এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।
দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বর্তমানে মোট ২৭ শতাংশই ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত। প্রতি ৩ বছর অন্তর বার্ষিক আয়ের এই সীমা বাড়ানো হয়। যদিও এর আগে ২০১৩ সালে বাড়িয়ে ৬ লক্ষ ও ২০১৭ সালে তা ৮ লক্ষ পর্যন্ত রাখা হয়েছিল।
লোকসভায় এক লিখিত জবাবে সামাজিক ন্যায় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জানান, ওবিসিদের সংরক্ষণে বার্ষিক আয়ের সীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ব্যাপারে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক জি রোহিনীর নেতৃত্বে ওবিসিদের ক্যাটেগরি সম্পর্কে খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে কেন্দ্র। সবকিছু খতিয়ে দেখে সরকারের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা। যদিও ওবিসিদের সংরক্ষণ বাড়ানোর ব্যাপারে নানান মতান্তরও দেখা দিয়েছে।
