SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলা; এফআইআর দায়ের; তদন্ত শুরু করল সিবিআই

 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশকিছুদিন ধরে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার থানায় এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করল সিবিআই। আদালতের নির্দেশে সোমবারই এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এবার প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিৎ আচার্য ও অলোক কুমার সরকারকে আজ সন্ধ্যা 6টার মধ্যে ফের সিবিআই দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে টানা তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

জেরা করা হয়েছিল অলোক কুমার সরকারকেও। এদিন অবশ্য বিচারপতি জানিয়েছেন, শান্তিপ্রসাদ সিনহার আইনজীবী বিশ্বরুপ ভট্টাচার্যের আর্জি অনুয়ায়ী আপাতত পুলিশের সঙ্গে তাঁকে যেতে হবে না। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে তিনি নিজেই হাজির হবেন। ২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সিবিআই তরফে আজ আবেদন জানানো হয়েছে, এসপি সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদের রিপোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে রাখা হোক। কারণ তা তদন্তের পরবর্তী পর্যায়ে কাজে লাগতে পারে। সেই মতো সমস্ত নথিপত্র হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। 

Read More

মৃত্যুর জন্য পুলিশ দায়ী; তপন কান্দু খুনে প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

 

অস্বাভাবিক মৃত্যু তপন কান্দুর সঙ্গী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর। বুধবার সকালে ঝালদা শহরে তপন কান্দুর সঙ্গী নিরঞ্জন ওরফে সেফাল বৈষ্ণবের দেহ উদ্ধার হয় বলে স্তানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সকালে ছাত্ররা পড়তে এসে কড়া নেড়ে ডাক পায়নি সেফাল বৈষ্ণবের। এরপর পড়শি, আত্মীয়রা এসে দরজার ফাঁক দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ।

কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুনের দিন তিনি কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট না হলেও একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানে তাঁর নামে স্বাক্ষর করা রয়েছে। মৃত্যুর আগে সেফাল ওরফে নিরঞ্জন বৈষ্ণব তাঁর মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন। নোটে তিনি লিখেছেন, "যেদিন থেকে তপনের মৃত্যু হয়, সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি তা মাথা থেকে কোনও রকম বার হচ্ছে না। এর ফলে রাত্রে ঘুম হচ্ছে না, খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু ওই ঘটনাটাই মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।" 

Read More

CBI তলবের দিনই এসএসকেএমে অনুব্রত মণ্ডল!

 

সিবিআই হাজিরার দিনই এসএসকেএম হাসপাতালে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উডবার্ন  ব্লকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। ২১১ নম্বর কেবিনে রয়েছেন তৃণমূল নেতা। তাঁর চিকিৎসায় ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বীরভূম থেকে গাড়িতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত। তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল, তিনি কি সিবিআই-এর মুখোমুখি হতে আসছেন? সিবিআই-ও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল।

কেষ্টর জন্য প্রশ্নপত্রও ঠিক করে রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। এমনকি সকালে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান সিবিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। 

উল্লেখ্য, এই জল্পনা আরও গাঢ় হন মঙ্গলবারই অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেল বুধবার যেতে পারেন নিজাম প্যালেসে। যেহেতু হাইকোর্টের দুটি বেঞ্চেই অনুব্রতর রক্ষাকবচের আর্জি খারিজ হয়ে যায়, তাই প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি তিনি উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন? অনুব্রতর আইনজীবী জানিয়ে দেন, এখনই তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সিবিআই-এর মুখোমুখি হন অনুব্রতর দেহরক্ষী। আজ কেষ্টর হাজিরার কথা ছিল। সেই মোতাবেক সকাল থেকেই নিজাম প্যালেসের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু আজ সকাল থেকেই ধোঁয়াশায় রেখেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আইনজীবী। তাঁর আইনজীবীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আদৌ কি নিজাম প্যালেসে যাবেন অনুব্রত?  আইনজীবী উত্তরে বলেছিলেন, ‘দেখা যাক…' অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে? সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল আইনজীবীকে। তখনও তাঁর উত্তর ছিল 'দেখা যাক..'।১১ টার সময়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। তার কিছু সময় আগেই নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে গাড়ি নিয়ে বের হন অনুব্রত। কালো রঙা এক্সইউভি গাড়িতে রওনা দেন তিনি। সংবাদমাধ্যমও অনুসরণ করতে থাকে তাঁর কনভয়। টান টান উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রশ্ন তখনও ছিল, তিনি কি আদৌ নিজাম প্যালেসে যাচ্ছেন? অনুব্রতর কনভয় মা ফ্লাইওভার ধরা পর্যন্তও সেই জল্পনা জিইয়ে ছিল। তারপরই আচমকাই পার্কসার্কাসের দিকে না গিয়ে কনভয় ঘুরিয়ে নেন অনুব্রত। 

Read More

'তবু যদি একবার খোঁজ নিতেন...'; উপাচার্যের গলায় আক্ষেপর সুর

বিতর্কের মধ্যে ফুরচ্ছে মেয়াদ। এবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে সরছেন মহম্মদ আলি। ১৩ এপ্রিল ফিরে যাচ্ছেন যাদবপুরে অধ্যাপনার কাজে। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধরের হুমকি, কান ধরে ওঠবোস করার জন্য লাগাতার চাপ।

হেনস্থার ভাইরাল ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন উপাচার্য মহম্মদ আলি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি কার্যত আক্ষেপের সুরে জানালেন, ''আমি অত্যন্ত ভেঙে পড়েছি। হয়ত সকলেই খুব ব্যস্ত, তাও বলব যদি প্রশাসনের তরফ থেকে কেউ একবার অন্তত ফোন করে খোঁজ নিতেন...।" উপাচার্য হেনস্থার ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রাজ্য। সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতরের তরফে উপাচার্যের কাছে গোটা ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এদিন উপাচার্য মহম্মদ আলি বলেন, ''আমার কাছে প্রশাসনের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমিও সবটা জানাব।'' কিন্তু, একইসঙ্গে আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, ''আমাকে কি মানসিকভাবে সুস্থ মনে হচ্ছে? আমি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছি। উপাচার্যেরও পদে রয়েছি চার বছর। কিন্তু, এই ধরণের ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। এটা বেনজির ঘটনা। একজন ছাত্রের তরফে এই আচরণ, এই ভাষা মেনে নেওয়া যায় না। আমি ঘটনার পর থেকে এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল।" সরকারের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্য বলেন, ''আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। হয়ত সকলেই খুব ব্যস্ত, কিন্তু একবার যদি অন্তত খোঁজ নিতেন...।" 

Read More

সিবইআই দফতরে হাজিরা দেবেন? কলকাতায় অনুব্রত মণ্ডল

 

এবার কলকাতার পথে অনুব্রত মণ্ডল। বীরভূমের এই দাপুটে নেতা হঠাৎ কেন কলকাতায়? ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন। বগটুইয়ের ঘটনার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।

এদিকে গোরু পাচারকাণ্ডে তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। তবে অতীতে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু, বুধবার যখন হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছে তাঁকে, সেই সময় হঠাৎ তিনি কলকাতার পথে কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু সম্ভাব্য কারণ উঠে আসছে। 

এদিকে হাইকোর্ট থেকে আইনি রক্ষাকবচ না পাওয়ার পরপরই পঞ্চম বারের মতো নোটিশ পাঠায় সিবিআই। আগামী ৬ এপ্রিল (বুধবার) হাজিরা দিতে বলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এরই মধ্যে আগামিকাল কি তিনি আদৌ হাজিরা দিতে যাবেন? হঠাৎ করেই বীরভূম থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হওয়া ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও অনুব্রত মণ্ডল বা তাঁর আইনজীবীর তরফে এখনও এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন এমনটাও যেমন বলা হয়নি, তেমনই তিনি যে এবারও হাজিরা এড়িয়ে যাবেন এমন কোনও ইঙ্গিতও দেননি। 

Read More

সোনারপুর লোকালে দিদি-ভাইকে বেধড়ক মার বৃহন্নলাদের দলের!

 

ট্রেনে উঠে যাত্রীদের উপর রীতিমত অত্যাচার, চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার বৃহন্নলাদের হাতে আক্রান্ত দুই ট্রেন যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরে। ট্রেনে উঠে রীতিমতো ট্রেন যাত্রীদের উপর অত্যাচার, তাঁদের সাথে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ আগেই উঠেছিল একদল বৃহন্নলার বিরুদ্ধে।

এবার চাহিদা মত টাকা না দেওয়ার অপরাধে দুই ট্রেন যাত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার সুভাষ গ্রাম ও সোনারপুর স্টেশনের মধ্যে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন সুজন হালদার ও তাঁর দিদি স্নেহলতা হালদার নামে দুই ভাই বোন। এ বিষয়ে আক্রান্তরা সোমবার রাতেই সোনারপুর জি আর পি তে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। 

Read More

ফের ধাক্কা; এসএসসি মামলা ফিরিয়ে দিল চতুর্থ ডিভিশন বেঞ্চ

 

নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। চতুর্থ বারের চেষ্টাতেও কাজের কাজ কিছুই হল না। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) মামলা আবারও ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নিয়ে চারটি ডিভিশন বেঞ্চ ফিরিয়ে দিল এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি। তবে এ বার কিছুটা ভর্ৎসনার সুরেই প্রধান বিচারপতি আইজীবীদের বলেছেন, "নিয়ম মেনে কাজ করুন।"

এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় রাজ্য গঠিত শিক্ষক এবং কর্মী নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল আগেই গত শুক্রবার কমিটির চার সদস্যকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা। কিন্তু তিনটি ডিভিশন বেঞ্চই ওই মামলা ফিরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। কিন্তু এই বেঞ্চও জানিয়ে দেয়, মামলাটি শুনতে তারা আগ্রহী নয়। 

Read More