স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার আবেদনপত্র ফেরত পাঠিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। আবেদনপত্রে একাধিক ত্রুটি থাকায় সেই আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যায়।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার আবেদনপত্র ফেরত পাঠিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। আবেদনপত্রে একাধিক ত্রুটি থাকায় সেই আবেদনপত্র বাতিল হয়ে যায়।
নয়া উদ্যোগ রাজ্যের। পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলির আয়বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে পঞ্চম অর্থ কমিশন গঠন করল রাজ্য সরকার। চতুর্থ কমিশনের মতোই এবারও নেতৃত্বে রয়েছেন ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধ্যাপক অভিরূপ সরকার। তিনি ছাড়া, বাকি চারজন সদস্যের মধ্যে তিনজন রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত আমলা। তাঁরা হলেন বর্ণালী বিশ্বাস, আশিসকুমার চক্রবর্তী এবং স্বপনকুমার পাল। কমিশনের আরেক সদস্য হলেন রুমা মুখোপাধ্যায়।
প্রশ্ন হল কী এই কমিশন? তাদের কাজ কী? অর্থ কমিশন রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির আর্থিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করাই হবে প্রধান কাজ। এর পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে রাজ্য সরকারের আয়ের কত অংশ পাবে পুরসভা বা পঞ্চায়েত, তা দেখভাল করার দায়িত্বও বর্তায় অর্থ কমিশনের উপর। শুধু রাজ্য সরকারের প্রদেয় অর্থ নয়, পঞ্চায়েত-পুরসভা কীভাবে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করবে, তার রূপরেখাও তৈরি করে দেয় অর্থ কমিশন।
চাকরি করে দেওয়ার জন্য বহু জায়গা থেকে চাপ ছিল। এমনটাই বিস্ফোরক দাবি SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কেও বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। যদিও এ'নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এসএসসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের কথায়, অনেক সুপারিশ চালককে দিয়ে নেতারা পাঠিয়েছে। প্যাডের পর প্যাড। বহু সুপারিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচন্ড চাপ ছিল। কোথাও তালিকা করে দেওয়া, চাকরি করে দেওয়া, নেতারাই সুপারিশ করতো।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন শিক্ষামন্ত্রী না থাকলেও, তৃণমূলের মহাসচিব ছিলেন। SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন SSC'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। চিত্তরঞ্জন মণ্ডল আরও বলেন, চাপ বাড়তেই থাকল। নতি স্বীকার করিনি। কিন্তু, চাপ বাড়তেই থাকল। অক্টোবর মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডাকলেন। বললেন, ছেড়ে দিন। উনি দলের মহাসচিব। দোর্দণ্ডপ্রতাপ। খুব খারাপ লেগেছিল সেদিন। দুর্ব্যবহার করেছিলেন। দুঃখে ছেড়ে দিয়েছিলাম। পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিতে বলেনি। তখন হয়ত তাড়া ছিল। ভেবেছিল আপদ বিদায় হোক।
ফের কংগ্রেসে বড়সড় ধাক্কা। দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা কপিল সিবাল এবার দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। এ দিন লখনউয়ে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেন সিবাল। তার পরেই তিনি জানান, গত ১৬ মে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। কংগ্রেসের যে তেইশ জন বিক্ষুব্ধ নেতার নাম উঠে এসেছিল, সেই জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা ছিলেন সিবাল।
চাকরি করে দেওয়ার জন্য বহু জায়গা থেকে চাপ ছিল। এমনটাই বিস্ফোরক দাবি SSC-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কেও বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। যদিও এ'নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এসএসসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের কথায়, অনেক সুপারিশ চালককে দিয়ে নেতারা পাঠিয়েছে। প্যাডের পর প্যাড। বহু সুপারিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচন্ড চাপ ছিল। কোথাও তালিকা করে দেওয়া, চাকরি করে দেওয়া, নেতারাই সুপারিশ করতো।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন শিক্ষামন্ত্রী না থাকলেও, তৃণমূলের মহাসচিব ছিলেন। SSC নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, তখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন SSC'র প্রাক্তন চেয়ারম্যান। চিত্তরঞ্জন মণ্ডল আরও বলেন, চাপ বাড়তেই থাকল। নতি স্বীকার করিনি। কিন্তু, চাপ বাড়তেই থাকল। অক্টোবর মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ডাকলেন। বললেন, ছেড়ে দিন। উনি দলের মহাসচিব। দোর্দণ্ডপ্রতাপ। খুব খারাপ লেগেছিল সেদিন। দুর্ব্যবহার করেছিলেন। দুঃখে ছেড়ে দিয়েছিলাম। পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিতে বলেনি। তখন হয়ত তাড়া ছিল। ভেবেছিল আপদ বিদায় হোক।
বহু দিন পরে এক সপ্তাহে দ্বিতীয় বার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টেয় নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি সপ্তাহের সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছিলেন তিনি। নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এসএসসি নিয়ে সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বেশ কিছু দায়িত্ব বদলও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই সম্ভবত একই সপ্তাহে দ্বিতীয় বার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার সব সদস্যের হাতে এই বৈঠক সংক্রান্ত বার্তা পৌঁছে গিয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এসএসসি নিয়ে সিদ্ধান্তের পাশাপাশি বেশ কিছু দায়িত্ব বদলও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণেই সম্ভবত একই সপ্তাহে দ্বিতীয় বার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন তিনি। তবে সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত ছিল রাজ্য পুলিশের নিয়োগের বিষয়টি। ওই দিন রাজ্য পুলিশে কয়েক হাজার পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ ঘিরে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। SSC-র মেধাতালিকায় কীভাবে স্থান বদল? 'ওএমআর শিট মূল্যায়ণের জন্য NYSA Communications Pvt Ltd নামে একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। ওই সংস্থাকে স্রেফ কালো তালিকাভুক্ত করাই নয়, পরে ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়ণের জন্য ND infosystem নামে অপর একটি সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়'।
স্কুল সার্ভিস কমিশনে গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে কীভাবে নিয়োগ? কারা চাকরি পেয়েছেন? হাইকোর্টের নির্দেশে অনুসন্ধান চালায় বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের কমিটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনুসন্ধান চলাকালীন ১৬ জন প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
বাগ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়ণের পক্ষে অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা। কিন্তু যে সংস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই ND infosystem-র এক জেনারেল ম্যানেজার আবার বয়ান দিয়েছেন, যে ওএমআর শিটের কোনও পুনর্মূল্যায়ণ তারা করেনি। তাহলে মেধাতালিকায় কর্মপ্রার্থীদের স্থান কীভাবে বদলে গেল? শুধু তাই নয়, SSC-র নিয়ম অনুযায়ী এই ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়ণ করা যায় না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।
তাহলে? গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই 'বেআইনি' বলে উল্লেখ করা হয়েছে বাগ কমিটি রিপোর্ট। এর দায় কার? অনুসন্ধান কমিটির বক্তব্য, 'গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার জন্য অবৈধ ও বেআইনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র সরকার. অশোক সাহা। বেআইনিভাবে পুনর্মূল্য়ায়ণ ও মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করেছিলেন তাঁরা'।