বিতর্কটা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা এবার অফলাইনেই! বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বুধবার জুন মাসের ৩ তারিখ কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল্প্যের সিন্ডিকেট সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছেন,
বিতর্কটা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা এবার অফলাইনেই! বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বুধবার জুন মাসের ৩ তারিখ কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল্প্যের সিন্ডিকেট সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়েছেন,
টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়ার মাঝেই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল। ফেল করা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শংসাপত্র দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পোর্টাল চালু করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আগামী ১৩ জুন পর্যন্ত সচল থাকবে এই পোর্টাল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং যোগ্যপ্রার্থীরা এই পোর্টালের মাধ্যমে শংসাপত্রের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরই মাঝে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ।
আবেদন পত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, হুগলি জেলার কয়েকজন যাঁরা টেট পাস করতে পারেরনি, তাঁরা বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছেন। মামলাকারীর দাবি, ২০১৭ সালে পর্ষদ হুগলি জেলা সাংসদকে ৬৮ জনের একটি তালিকা পাঠিয়েছিল। সেই তালিকায় অনুত্তীর্ণদের নাম ছিল। টেটের অসংরক্ষিত তালিকার ৯ নম্বরে নাম রয়েছে পল্লবী মান্না। মামলার সঙ্গে জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এছাড়াও আরও কয়েকজন এরকম আছেন বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তার মাঝেই টেট দুর্নীতির অভিযোগ। মামলাকারীর আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহরায় বলেন, "মামলাটি হয়েছে। ছুটির পরেই মামলার শুনানি হবে। আদালতে সব তথ্য পেশ করব।" ৬ তারিখের পর মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে বেশ কয়েক বছর ধরে। এই অনিয়মে নাম জড়িয়েছে একাধিক নেতা-মন্ত্রী ও আধিকারীকদের। এবার স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে এল আরও বড় অনিয়মের চিত্র। অভিযোগ, শিক্ষক বদলির আড়ালে শূন্যপদে দেদার অবৈধ নিয়োগ করেছেন শিক্ষা দফতরের পদস্থ কর্তারা। সিপিআইএমের মুখপাত্র গণশক্তির প্রতিবেদন এমন খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীষ জৈনের বিরুদ্ধে উঠে আসছে একাধিক অভিযোগ। তাঁর জারি করা একাধিক নির্দেশিকা দুর্নীতিতে সহায়ক হয়েছে বলে উঠে এসেছে সেই প্রতিবেদনে।
২০২০ সালের শুরুতে রাজ্যে শিক্ষক বদলি নিয়ে শুরু হয় চূড়ান্ত তৎপরতা। বছরের পর বছর যাদের বদলি আটকে ছিল তারা রাতারাতি বাড়ির কাছে পছন্দের স্কুলে বদলি হতে শুরু করেন। কিন্তু সেই প্রক্রিয়ার আড়ালে অবৈধ নিয়োগের পরিসর তৈরি করা হচ্ছিল বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সেখানে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীষ জৈন একটি নির্দেশিকা জারি করেন। গোপন সেই নির্দেশিকার প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছিল মুখ্যসচিব, শিক্ষামন্ত্রী নিজস্ব সচিব ও শিক্ষা দফতরের কমিশনারের কাছে। তবে তার প্রতিলিপি জেলায় পৌঁছয়নি। সেই নির্দেশিকায় জানান হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক ইচ্ছায় স্কুল শিক্ষকদের বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকরা যাতে পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেন সেজন্যই এই উদ্যোগ বলে জানান হয়। সেজন্য রাজ্যের সমস্ত সরকার অনুমোদিত স্কুলে শিক্ষকদের তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে।
এর পরই শুরু হয় করোনা মহামারির জেরে লকডাউন। তারই মধ্যে স্কুলগুলিকে শিক্ষকদের তথ্য দেওয়ার জন্য শিক্ষা দফতরের তরফে চালু করা হয় একটি পোর্টাল। তাতে কোন স্কুলে কত অনুমোদিত পদ রয়েছে। শূন্যপদের সংখ্যা কত তা জানাতে বলা হয়। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা ওই পোর্টালে তথ্য দ্রুত আপলোড করার জন্য প্রবল চাপ দিতে থাকেন। এমনকী রাত ১০টায় সহকর্মীদের নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং করেন শিক্ষাসচিব।
আইন অনুসারে রাজ্যে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ ও বদলির দায়িত্ব স্কুল সার্ভিস কমিশনের। শিক্ষা দফতরের এব্যাপারে সরাসরি হস্তক্ষেপের অবকাশ নেই। সেসবের পরোয়া না করেই শিক্ষা দফতর পোর্টাল খুলে স্কুলগুলিতে শূন্যপদের সংখ্যা সংগ্রহ করে বলে অভিযোগ। এমনকী যে তথ্য একবার পোর্টালে আপলোড হয়ে যেত তা শিক্ষা দফতরের হাতে গোনা কয়েকজন কর্তা ছাড়া আর কেউ দেখতেও পেতেন না।
স্কুলগুলির শূন্যপদের তালিকা যখন শিক্ষা দফতরের হাতে তখন ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর আরও একটি নির্দেশিকা জারি করেন শিক্ষাসচিব। তাতে বলা হয়, SSC-র কাছে পরিকাঠামো না থাকায় এবার থেকে স্কুল শিক্ষকদের বদলি নিয়ন্ত্রণ করবেন স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার। যা স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইন বিরোধী বলে দাবি। এর পর লকডাউনের মধ্যেই বিকাশ ভবনে বসে ৮,০০০ শিক্ষকদের বদলি করেন শিক্ষা দফতরের কমিশনার। অভিযোগ, বদলির জেরে তৈরি হওয়া শূন্যপদে র্যাঙ্ক জাম্প করিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে অযোগ্যদে।
গণশক্তির প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'একদিন পোর্টালে কোনও সমস্যার জন্য শূন্যপদের সংখ্যা দেখা যাচ্ছিল না। বিকাশ ভবন থেকে শিক্ষা দফতরের এক কর্তা ফোন করে জানতে চান একটি স্কুলে শূন্যপদ আছে কি না। স্কুল থেকে জানতে পারি সেখানে শূন্যপদ রয়েছে। আধ ঘণ্টার মধ্যে সেই পদ পূরণ হয়ে গিয়েছিল।'
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীষ জৈনকে যে কোনও দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকতে পারে সিবিআই। তিনি কী ভাবে চার বছর ধরে ওই পদে রয়েছেন প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা নিয়েও।
ফের নির্বাচন হওয়া নিয়ে বিতর্ক। দায়ের হল মামলা। পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন বন্ধ রাখার দাবিতে ফের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু মামলা না-শুনে রেগুলার বেঞ্চে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তিনি জানান, আগামী ২১ জুন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে বেশ কয়েকটি এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। জিটিএ নির্বাচন হলেও তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে এই মামলার নিস্পত্তির উপর।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হয়নি।
পেট্রোল-ডিজেলের পর এবার বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো। বুধবার থেকে ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো ১৩৫ টাকা। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে এই দাম লাগু হয়েছে।
দাম কমার ফলে দিল্লিতে ১৯ কেজির একটি বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম হল ২,২১৯ টাকা।
উল্লেখ্য, গত ১ মে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ১০০ টাকা। তবে তার আগে এপ্রিলে ২৫০ টাকা ও মার্চে ১০৫ টাকা দাম কম করে কেন্দ্র।
অভিষেককে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র যাবতীয় যুক্তি খারিজ করল আদালত। চিকিৎসার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? বুধবার সন্ধের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টের পর থেকে জল্পনা ছড়ায়। অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন যে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন সৌরভ।
সৌরভের অফিস থেকে অবশ্য সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া হল। সৌরভের আপ্ত সহায়ক তানিয়া ভট্টাচার্য জানালেন, বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিচ্ছেন না তিনি। এমনকী, রাজ্যসভাতে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। সেই সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে বলা হল, বাকিটার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে।
বুধবার সন্ধের দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন সৌরভ। তিনি লেখেন, '১৯৯২ থেকে ২০২২, ক্রিকেটে ৩০ বছরের সফর সম্পূর্ণ করে ফেললাম। সেই থেকে ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে, এটা আপনাদের ভালবাসা ও সমর্থন দিয়েছে। এই দীর্ঘ সফরে যাঁরা আমাকে সমর্থন করেছেন, পাশে থেকেছেন, এবং আজ আমি যেখানে সেখানে পৌঁছতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ'।
এরপরই সৌরভ ইঙ্গিতপূর্ণভাবে লিখেছেন, 'আজ আমি এমন কিছুর পরিকল্পনা করছি যা আমার মনে হয় প্রচুর লোককে সাহায্য করবে। আশা করছি আমার জীবনের এই নতুন অধ্যায়ে যখন প্রবেশ করছি, তখন আপনারা আমাকে সমর্থন করে যাবেন'। এর পরেই জল্পনা শুরু হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলেছে স্বয়ং সৌরভের দফতর।