উত্তরবঙ্গ সফরে এসে ফের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এইদিন তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা দেয়না। কিন্তু আমরা ভিক্ষা চাইনা। আমরা সম্মানের সঙ্গে লড়াই করি। আপনারা বাড়ি পাবেন। আমরা চা-বাগানে পাট্টা দিচ্ছি। এরপরে জমি এবং বাড়িও পাবেন।" মাদারিহাটে বিপুল ভোটে জয়লাভের জন্য ওই এলাকার মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান মমতা। তিনি বলেন, "মাদারিহাটের মানুষকে অন্তর থেকে ভালোবাসা জানাচ্ছি। আমাদের আপনারা প্রথম বার জিতিয়েছেন।" এর পরে তাঁর কথায় উঠে আসে উচ্ছেদ প্রসঙ্গও। সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "জয়গাঁয় কোনও উচ্ছেদ হবে না। আমরা বিকল্প রাস্তা দেখছি।"
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫
হামলার মুখে পড়ল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গাড়ি!
আবার দিল্লিতে হামলার মুখে পড়ল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গাড়ি। এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন কেজরীওয়াল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হরি নগর এলাকায় এক জনসভায় যাওয়ার সময় কয়েক জন তাঁর গাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধান তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই পঞ্জাব পুলিশ কেজরীওয়ালকে দেওয়া অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আপ প্রধানের অভিযোগ, হরি নগর এলাকায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময় বিরোধী শিবিরের প্রার্থীর কয়েক জন সমর্থক আচমকাই তাঁর গাড়ির কাছে চলে আসেন। তাঁর গাড়িতে হামলা করা হয়। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে 'চক্রান্ত'-এর অভিযোগ তুলেছেন কেজরীওয়াল। তাঁর নিশানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পুলিশই হামলাকারীদের তাঁর গাড়ির কাছে আসতে দিয়েছিল। আর পুরোটাই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। দিল্লি পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও অভিযোগ আপ প্রধানের। এর পাশাপাশি, কেজরীওয়াল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, কমিশন এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ।
বিবাহ বিচ্ছেদের পথে সহবাগ?
প্রায় ২০ বছরের সম্পর্কে ভাঙন। বিবাহবিচ্ছেদের পথে বীরেন্দ্র সহবাগ এবং তাঁর স্ত্রী আরতি আহলাওয়াত। ২০০৪ সালে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাঁরা আলাদা থাকছেন বলে জানা গিয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদও হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সহবাগ পরিচিত ছিলেন তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য। ভারতের হয়ে টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে খেলেছেন দাপটের সঙ্গে। ২০০৭ সালে সহবাগ এবং আরতির প্রথম সন্তান আর্যবীরের জন্ম হয়। সে এখন ক্রিকেট খেলে। বয়সভিত্তিক ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতিমধ্যে নজর কাড়তে শুরু করেছেন। ২০১০ সালে সহবাগের দ্বিতীয় সন্তান বেদান্তের জন্ম হয়। দীর্ঘ ২০ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের এ বার ইতি হতে চলেছে বলে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
বাঁকুড়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক হলেন দেবলীনা হেমব্রম!
বাঁকুড়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক হলেন দেবলীনা হেমব্রম। কোনও দলিত মহিলা সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক হয়েছেন, এমন নজির খুব একটা চোখে পড়ে না। সোজা কথায় সিপিআইএমের ইতিহাসে প্রথম মহিলা জেলা সম্পাদক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, চেনা রাজনীতির ছক ভাঙতে চাইছে সিপিআইএম। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন দেবলীনা হেমব্রম। বসলেন একেবারে জেলা সিপিআইএমের সম্পাদকের পদে। বাঁকুড়া জেলা সিপিআইএমের সম্মেলন থেকে নেওয়া হয়েছে এই নতুন সিদ্ধান্ত। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) ২৪ তম বাঁকুড়া জেলা সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে ৬০ জনের জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়েছে। সেখানেই সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে দেবলীনার কাঁধে। নব নির্বাচিত জেলা কমিটিই দেবলীনা হেমব্রমকে জেলা সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
আইসিসিইউতে পার্থ! শরীরে একাধিক সমস্যা
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএমের আইসিসিইউতে রাখা হয়েছে বলে হিসপিটাল সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শরীরে বেশকিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেই কারণেই পার্থকে আইসিসিইউতে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গত ২০ জানুয়ারি পার্থকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্থের কিডনি এবং ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাতেও গোলমাল হচ্ছে। ওঠানামা করছে পটাশিয়াম, সোডিয়ামের পরিমাণ। আইসিসিইউতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁকে নজরে রেখেছেন। প্রসঙ্গত,
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পার্থ গত আড়াই বছর ধরে জেলে। ২০২২ সালের ২২ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইডির পাশাপাশি পরে সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হন পার্থ। জেলের ভিতর একাধিক বার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
ফের শান্তনু হারালেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের সরকারি পদ!
তৃণমূল থেকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বার সরকারি পদ থেকেও ছেঁটে ফেলা হল শাসকদলের সাসপেন্ডেট চিকিৎসক নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে এত দিন শান্তনু সেন ছিলেন। তাঁকে সরাসরি সরিয়ে নতুন প্রতিনিধি করা হয়েছে অসীম সরকারকে।
আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই শান্তনুর অবস্থান এবং তাঁর নিজস্ব মতামত ঘিরে বেশ চাপে ছিল শাদক দল তৃণমূল। ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচিতে সমর্থন ছিল শান্তনুর। এর সঙ্গে চিকিৎসক নেতার স্ত্রীকেও দেখা যায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকতে। হাসপাতাল প্রশাসনের অন্দরে দুর্নীতি-র অভিযোগ তুলেছিলেন চিকিৎসক নেতা। আরজি কর পর্বের পর থেকেই শান্তনুর সঙ্গে দলের সমীকরণ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরানো হয় শান্তনুকে। বিভিন্ন হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধিদের তালিকাতেও জায়গা পাননি তিনি।
সম্প্রতি দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে নিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। তবে কোন দলবিরোধী কাজের জন্য এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ, তা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। কত দিনের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, সে কথাও প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর প্রাক্তন সাংসদও বলেছিলেন, কোন দলবিরোধী কাজ করেছেন, তা বুঝতে পারছেন না তিনিও। তবে আরজি কর-কাণ্ডের প্রভাবে দলের এই পদক্ষেপ বলে মনে করেন না তিনি।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
রাজ্য সরকার আর প্রশাসন সম্পর্কে বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা!
''খেলা হচ্ছে, ৯ অগস্ট থেকে শুধু খেলাই হচ্ছে।' রাজ্য সরকার আর প্রশাসন সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। ৫ মাস পর আরজি কর মামলার রায় বেরলেও তাতে তুষ্ট নন মৃত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। রায় বেরনোর আগেই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন তাঁরা। অপরদিকে, আরজি কর কাণ্ডে অপরাধী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। সেই মামলাকে 'ভোট গেম' বলেই চিহ্নিত করেছেন তিলোত্তমার বাবা।
হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে রাজ্যের তরফে একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, পরিবারের তরফে সম্মতি ছাড়া রাজ্যের এই মামলা করার অনুমতি আছে কি না। তাঁরা সম্মতি দেবেন কি না, এই প্রশ্ন করায় তিলোত্তমার বাবা বলেন, "আমরা কী করব, সেটা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।"
এই মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেই মতো হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলা প্রসঙ্গে তিলোত্তমার বাবা বলেন, "এত সক্রিয়তাই বা কেন! রায়ের কপি পড়ে উঠতে পারলাম না, ওঁরা মামলা করে দিলেন! এক মাস তো সময় ছিল। মুখ্যমন্ত্রী গেম খেলছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, উনি তো বলেন খেলা হবে, সবসময় খেলা করছেন। এটাও খেলা। মুখ্যমন্ত্রী অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। এটা একটা ভোট গেম তো বটেই।" তিলোত্তমার বাবার দাবি, সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা না হওয়ায় জনগণের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা।
সঞ্জয়ের কী হল, তা নিয়ে আপাতত চিন্তিত নন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁদের দাবি, আর কেউ যুক্ত থাকলে, তাদের নাম যাতে সামনে আসে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের মামলা মেনশন করা হয়েছে। আজ, বুধবার শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে, আগামী ২৯ জানুয়ারি শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।