মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের গতকাল ভারতে ফেরাল ট্রাম্পের প্রশাসন। মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমান সি-১৭ চেপে দেশে ফেরানো হল তাদের। গতকালই মোট ১০৪ জন অভিবাসীদের নিয়ে অমৃতসর বিমানবন্দরে নেমেছে সেই সেনাবাহিনীর বিমানটি। এদিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদে সুর চড়াল বিরোধী শিবির। গোটা প্রক্রিয়াটিকে অমানবিক বলে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছে তারা। এমনকি, এই অমানবিক ঘটনার বিরুদ্ধে কোনও রকম প্রতিবাদ তো দূর একটা বাক্যেও কাটেনি কেন্দ্র সরকার, দাবি বিরোধীদের। এদিন দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা ও লোকসভা। গত ৩১ জানুয়ারি থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। আর প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক যেন ঘিরে ধরেছে দেশের এই অন্যতম সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে। রাষ্ট্রপতিকে অবমাননা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছিল পদ্ম শিবির। এবার পাল্টা হামলা কংগ্রেসের। মোদীর 'বন্ধু' ট্রাম্পের অভিবাসীদের প্রত্যাপর্ণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভে কংগ্রেস। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংসদে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিক্ষোভে কংগ্রেস। অভিযোগ, 'এই ঘটনা সম্পূর্ণভাবে অমানবিক। তাদের হাতে হাতকড়ি, পায়ে শিকল পরানো ছিল। যা সমস্ত ভারতীয়দের জন্য অপমানজনক একটি ঘটনা। আর এরপরেও চুপ রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি, একটা রাও কাটেনি বিদেশমন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
ফের চরিত্র বদল আবহাওয়ার, শুক্রবার বঙ্গে ফিরছে ঠাণ্ডা
গরম লাগছে বাইরে বেরলেই! কেউ কেউ তো ইতিমধ্যেই লেপ কম্বল তুলতে শুরু করে দিয়েছেন! এ বছরের মতন শীতের পাঠ চুকল বোধহয়। তবে না। আবহাওয়া অফিস বলছে, নিজের চরিত্র বদল করছে আবহাওয়া। সপ্তাহের শেষ থেকে পাল্টি খাবে সে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সপ্তাহ শেষে আরও এক দফা শীতের কামড়। শুক্রবার থেকেই ফের ঠাণ্ডা বাড়বে বাংলায়। শনি-রবিবার অনেকটাই নামতে চলেছে পারদ। বৃহস্পতিবার কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছেছে ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সপ্তাহান্তে ১৬ ডিগ্রিতে নামতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা বলে খবর। অপরদিকে, ফের ১০ ডিগ্রিতে নামতে পারে পুরুলিয়ার পারদ। ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকতে পারে বাঁকুড়া-বীরভূমের তাপমাত্রা। তবে দিনে শীতের আমেজ পাওয়ার আশা আর নেই।
তাণ্ডব বঙ্গবন্ধু মুজিব ভবনে!
রাত পেরিয়ে সকাল। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩২ নম্বরে ধানমন্ডির বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। বুধবার রাত যখন ৯টা নাগাদ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ভাষণ দেওয়ার কথা সামনে আসার পরেই এই হামলা বলে জানা গিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ও মিউজিয়ামে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতির সকালেও ছবিটা এতটুকু বদলায়নি। হাসিনার ভাষণ সম্প্রচারের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগ। আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ আয়োজিত ভাষণে শেখ হাসিনা বর্তমান শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। যা নিয়ে হাসিনা-বিরোধীরা ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে। রোষ গিয়ে পড়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে। মুজিবের বাড়িতে প্রথমে তাণ্ডব চালানো হয়। পরে নিয়ে আসা হয় বুলডোজার ৷উল্লেখ্য, এই বাড়িতেই শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ-সহ আত্মীয়দের হত্যা করা হয়েছিল। পরে এই বাড়িটিকে তাঁর স্মৃতিতে জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলেন মুজিবকন্যা হাসিনা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েক হাজার মানুষ ঢাকার ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। তারপর তাণ্ডব শুরু করে। বাড়ির বাইরে স্লোগান ওঠে, এই বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্যালাইন খারাপ ছিল না; আদালতে ল্যাব রিপোর্ট দিয়ে ক্লিনচিট রাজ্যের
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুতে উঠে এসেছিল স্যালাইন বিভ্রাটের অভিযোগ। এবার সেই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে সরাসরি ক্লিনচিট দিল রাজ্য সরকার। লিঙ্গার ল্যাকটেটের স্যালাইনে খারাপ ছিল না। ল্যাব রিপোর্ট দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে জানাল রাজ্য।
৮ জানুয়ারিতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। এর পর থেকে উত্তপ্ত হয় রাজ্য। অভিযোগ ওঠে, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে প্রসূতির। ততক্ষণে অবশ্য ওই মেডিক্যাল কলেজে সিজার হওয়া আরও তিন প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়ে। তিন প্রসূতিকে গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তাঁদের সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিতর্কের অবসান হয়নি। রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই স্যালাইন বিভ্রাটের তত্ত্ব খারিজ করে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগকেই খাড়া করেছিল। ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে জল গড়ায় আদালতে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে আদালত। বৃহস্পতিবারই সেই রিপোর্ট জমা করে রাজ্য। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট বক্তব্য, যে স্যালাইন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল, সেই লিঙ্গার ল্যাকটেটের স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না। সেই স্যালাইনের নমুনা পরীক্ষার রাজ্যের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ক্লিনচিট পেয়েছে এই সংস্থা। একই সঙ্গে সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে আরও লেখা রয়েছে, ৮ জানুয়ারি পাঁচ প্রসূতির একই সঙ্গে চিকিৎসা চলছিল, পাঁচ জনের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সিআইডি তদন্ত করছে।
বঙ্গে ফের বড় বিনিয়োগ টাটা গোষ্ঠীর? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
বাংলার দেখাদেখি বেশকিছু রাজ্য বাণিজ্য সম্মেলন শুরু করেছ। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সাফল্য বোঝাতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন আগামিকাল, বৃহস্পতিবার থেকে দেউচা পাচামি প্রকল্পে কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেছেন, বাংলায় শিগগিরই ফের বড় বিনিয়োগ করবে টাটা গোষ্ঠী।
এ দিন থেকেই নিউ টাউনে বসেছে অষ্টম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসর। সেখানে হাজির হয়েছেন মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দল, সঞ্জীব পুরী, সঞ্জীব গোয়েঙ্কাদের মতো প্রথমসারির শিল্পপতিরা৷বাংলায় বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এবারের বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন অনেক আকারে বড়। ২০০ বেশি বিদেশি প্রতিনিধি এখানে আছেন। এটাকে আপনারা আপনাদের সুইট হোম ভাবুন। বাংলাকে ভুলবেন না। বাংলা আপনাকে ভুলবে না।'
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
আদালতে ধাক্কা সন্দীপ ঘোষের!
হাই কোর্টে বড় ধাক্কা আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। বাড়ানো হবে না সময়সীমা, ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই চার্জগঠনে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলেই সাফ জানালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগামিকাল শুরু হবে চার্জগঠনের প্রক্রিয়া। সম্প্রতি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় চার্জগঠনের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বলা হয়, ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চার্জগঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে নিম্ন আদালতে। তারপরই সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আইনজীবী বলেন, "আমাদের আশঙ্কা আগামী তিনদিনের মধ্যে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। সিবিআইয়ের তরফে আমরা আগে কোনও নথি পাইনি। এখন বিশেষ আদালতের নির্দেশের পরে সেই নথি আমাদের দেওয়া হচ্ছে। তিনদিনের মধ্যে প্রায় দশ হাজার পাতার নথি আমরা দেখব কী করে?" বুধবার সেই আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশেষ আদালতকে চার্জগঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করতেই হবে।
মহাকুম্ভে ডুব দিয়ে যোগী সরকারের প্রশংসায় রচনা!
মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করে যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের প্রশংসা করলেন বঙ্গের তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত এই প্রথম কোনও তৃণমূল সাংসদ প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে গেলেন। সরস্বতী পুজোর সময় প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় যোগ দেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ। কুম্ভমেলার পর মঙ্গলবার বারাণসী যান রচনা।
ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করে তিনি অভিভূত। এর পাশাপাশি যোগী প্রশাসন মহাকুম্ভে আগতদের থাকা থেকে শুরু করে নিরাপত্তার যে ব্যবস্থা করেছে তাতেও অভিভূত হুগলির সাংসদ। তিনি বলেন, "কোটি কোটি মানুষের মধ্যে আমি এখানে আসার সুযোগ পেয়েছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করেছি। অভিনেত্রী বা সাংসদ বলে আলাদা কোনও সুযোগ পাইনি। সকলের সঙ্গেই স্নান করেছি। "দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে হুগলির সাংসদ রচনা বলেন, "ওটা কেবল দুর্ঘটনা। তারপরও বহু মানুষ আসছেন। সাধারণ মানুষের থাকার জন্য সু-ব্যবস্থা আছে মেলায়। শৌচাগারের ব্যবস্থাও ভালো। নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ আছে। একটা শহরের মধ্যে ৩৫ কোটি মানুষ আসছেন এটা একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার।"