সত্যি হল আশঙ্কা। চোটের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন ভারতীয় দলের এক নম্বর জোরে বোলের জসপ্রীত বুমরাহ। তাঁর বদলে ভারতীয় দলে এলেন হর্ষিত রানা। যশস্বী জয়সওয়ালের বদলে দলে নেওয়া হয়েছে বরুণ চক্রবর্তীকে। বাকি দল অপরিবর্তিত রয়েছে। মঙ্গলবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৫ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে সিডনি টেস্টে চোট পেয়েছিলেন বুমরাহ। সেই ম্যাচে দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্নভোজের পর আর বল করতে পারেননি। মাঠ থেকেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। তখন থেকেই মাঠের বাইরে বুমরাহ। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তাঁর চিকিৎসা চলছে। বুমরাহের চোট গুরুতর না হলেও খেলার মতো অবস্থায় নেই। দু-বছর আগে বুমরাহের পিঠের যে জায়গায় অস্ত্রোপচার হয়ছিল সেই জায়গাতেই নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পিঠের এই চোটের জন্যই ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি বুমরাহ।
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
কংগ্রেসে ফিরছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিৎ!
কংগ্রেসে ফিরছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র তথা প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর বিধান ভবনে রাজ্যের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গোলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেবেন তিনি। সম্প্রতি এ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে কংগ্রেসে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন অভিজিৎ। তাঁর সেই ইচ্ছায় অনুমোদন দেওয়ার পরই প্রদেশ নেতৃত্বকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় একটা সময় কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হয়ে যাওয়ার পর তাঁর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র জঙ্গিপুর থেকে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন তিনি। ২০১৪ সালে ফের জঙ্গিপুর থেকে সাংসদ হন। কিন্তু ২০১৯ সালে জঙ্গিপুরে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন অভিজিৎ। তার পর থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ২০২১ সালের ৫ জুলাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন অভিজিৎ। সে সময় বলেছিলেন তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান। কিন্তু রাজ্যের শাসকদলও সেভাবে ব্যবহার করেনি তাঁকে। অভিজিৎকে লোকসভা বা বিধানসভা কোনও নির্বাচনেই প্রার্থী করা হয়নি। বস্তুত গত ৩ বছর তৃণমূলেও সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি অভিজিৎবাবুকে। গত কয়েক মাস তৃণমূলে যোগ নিয়েও তাঁর আক্ষেপ তৈরি হয়। কাজের সুযোগ তিনি পাচ্ছেন না বলে জানান।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
জগদীপ ধনখড় ভাষণ দিতে চায় বিধানসভায়!
বিধানসভায় ভাষণ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিশেষ দূত মারফত এই খবর পাঠিয়েছেন তিনি। এই বার্তা নিয়ে সুনীল গুপ্তাকে পাঠানো হয়েছিল বিধানসভায়। জানানো হয়, সরকারের বিরোধিতা করে ভাষণ তিনি পাঠ করবেন না।বিধানসভা সূত্রে খবর, বাংলা বিধানসভায় উপরাষ্ট্রপতি ভাষণ দেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। তাই এই ব্যাপারে ডাকতে হবে বিশেষ অধিবেশন। বিধানসভা বাজেট অধিবেশন শেষ করার পরে, দেখা হবে বিশেষ অধিবেশন ডাকা যায় কিনা।
আর জি কর দির্নীতি মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের!
আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলা। এদিন গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের। মঙ্গলবার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ছিল। সিবিআই সমস্ত নথি পেশ করতে না পারায় শুনানি পিছিয়ে যায় আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত। সিবিআইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী দিন ঘোষণার আগে আগে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের মন্তব্য, "এই ধরনের দুর্নীতি প্রশাসনের অভ্যন্তরে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং প্রশাসনকেও তা দূষিত করে তোলে। তাই কোনও বিলম্ব না করে জনস্বার্থে দ্রুত মামলাটির শুনানি শুরু হওয়া প্রয়োজন।"
আবার বোমাবাজিতে ফের উত্তপ্ত বীরভূম!
আবার বোমাবাজিতে ফের উত্তপ্ত বীরভূম। এ বার ঘটনাস্থল খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার জামালপুর গ্রাম। স্থানীয় সূত্রের খবর, বালি বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতেই দুই পক্ষ বোমাবাজি করেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তেরা তৃণমূল নেতা স্বপন সেন এবং তৃণমূলের কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরির ঘনিষ্ঠ বলে খবর। বোমার আঘাতে শেখ সাত্তার আলি নামে এক তৃণমূলকর্মীর একটি পা উড়ে গিয়েছে। জখম হয়েছেন আরও কয়েক জন। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকরতলা থানার পুলিশ।
গত বছর জেল থেকে জামিনে মুক্ত হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় ২ বছর পরে তিনি জেলায় ফেরার পর দলের গোষ্ঠীকোন্দল মাথাচাড়া দেয়। বেশ কয়েক জায়গায় অনুব্রত বনাম বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখের অনুগামীদের মারামারি, সংঘর্ষ হয়েছে। গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে দুই পক্ষ প্রকাশ্যে বার্তা দিয়েছে। অদিও অনুব্রত দাবি করেন, বীরভূমে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। কিন্তু ঘটনাপরম্পরা ঠিক উল্টো কথা বলছে।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
বেআইনি নির্মাণ ভাঙা প্রসঙ্গে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট!
বেআইনি নির্মাণ ভাঙা প্রসঙ্গে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট। নারকেলডাঙা থানা এলাকায় পাঁচতলা বেআইনি বাড়ি ভাঙার জন্য একাধিকবার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কাজ না হওয়ায়, কলকাতা পুরনিগমের উপর ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার শুনানিতে সোমবার তিনি স্পষ্ট বলে দেন, ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ওই বেআইনি বাড়ি খালি করে ভাঙতে হবে। তা না-হলে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী নামিয়ে বাড়ি ভাঙা হবে।
এই বিষয়ে পুরনিগমের আইনজীবী অলোক কুমার ঘোষ জানান, পুলিশ দখলদারদের সরাতে পারছে না। বাসিন্দাদেরও পুরোপুরি সরানো যায়নি। একটা তলা খালি করা গেলেও বাকি তলায় থাকা বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো যায়নি। হয়ে গেলে ভাঙার কাজ করা হবে। এই বক্তব্য শুনে বিচারপতি সিনহা বলেন, "রাজ্য পুলিশ ব্যর্থ হলে কেন্দ্রের পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে।"
আদালতে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পক্ষে সিবিআই!
সিবিআইয়ের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি খন্না জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, "এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে? অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?" চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়েও সিবিআই এবং এসএসসির কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
কত জন যোগ্য এবং অযোগ্যকে বাছাই করা হয়েছে, তা নিয়েও এসএসসিকে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তাতে কমিশনের আইনজীবী জানান, 'র্যাঙ্ক জাম্প' এবং প্যানেল বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই। সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, "সমস্যা তো এখানেই। বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে আপনাদের তথ্য মিলিয়ে দেখেননি। আপনারা বলতে পারছেন না কোনটি আসল তথ্য। কিন্তু সিবিআইয়ের তথ্য গ্রহণ করলে বলতে হবে বনসলের তথ্য আসল। উল্টো দিকে অন্য পক্ষ বলছেন, তাঁদের নম্বর আসল। বনসলের তথ্য সঠিক নয়।"
এই মামলায় অন্যতম সমস্যা হল যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করার ক্ষেত্রে সমস্যা। তবে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সোমবার শীর্ষ আদালতে জানান, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব। যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব নয় বলে যে যুক্তি উঠে এসেছে, তার বিরোধিতা করেন সিঙ্ঘভি।
মামলার একটি পর্যায়ে এক আইনজীবী কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কোনও ভিত্তি নেই। মামলা চলাকালীন তাঁর সাক্ষাৎকার এবং অবসরের পর রাজনীতিতে যোগদানের প্রসঙ্গও তোলেন ওই আইনজীবী। তবে আইনজীবীকে ওই সময়ে বিরত করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি খন্না বলেন, "আমি দুঃখিত। এই বক্তব্য গ্রহণ করতে পারব না। তথ্যের উপর ভিত্তি করে সওয়াল করুন।" ওই আইনজীবীকে কোনও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য না-করার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। আদালত যে তথ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে চলে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।