দিলীপ ঘোষ ইস্যুতে তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে এই প্রথম বার বৈঠকে বসছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সল্টলেকে বিজেপি দফতরে ডাকা হয়েছে এই বৈঠক। বৈঠকে বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল, অমিত মালব্য ছাড়াও থাকছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি ডাকা হয়েছে অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ সাধারণ সম্পাদকদের। পরিচিত ছক ভেঙে ডাকা হচ্ছে দলের সিনিয়র নেতৃত্বকেও। যদিও ডাক পাননি দিলীপ ঘোষ। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে দিলীপ ঘোষের যাওয়া ও বিভিন্ন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া বিতর্কিত পরিস্থিতিতে এই প্রথমবার বৈঠকে বসছেন রাজ্য নেতারা। সাংগঠনিক বিষয়ের পাশাপাশি নিশ্চিত ভাবে দিলীপ ঘোষ ইস্যু বৈঠকে উঠবে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের খবর। প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিজেপির অন্দরে গৃহযুদ্ধ চলছে। নানান বিজেপি নেতার সঙ্গে রীতিমতো সংঘাতে জড়াচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির বহু নেতার মুখোশ খোলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। কে পাথরে মূর্তি বিক্রি করে, কে বালির খাদান খোঁড়ে, সব তাঁর জানা বলে দাবিও করেন দিলীপ ঘোষ। এবার সেই সব তথ্য নিয়ে মুখ খুলবেন বলেও জানিয়ে রাখলেন তিনি। একইসঙ্গে খোঁচা, অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে কয়লা মাফিয়া লালার যোগ রয়েছে। ওখান (তৃণমূল) থেকে যারা এসেছে তারা ব্য়াগেজ নিয়ে এসেছে। সবমিলিয়ে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা নেতাদের একহাত নিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
'আমি কেন নিমকাঠ চুরি করব... আমার বাড়িতেই চারটে নিমগাছ আছে'; সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মূর্তি তৈরির কাঠ কোথায় থেকে পাওয়া গেল? এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী সেই কাঠ নিয়ে পুরীর মন্দিরেও শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, পুরীতে জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি তৈরির জন্য যে কাঠ আনানো হয়, তার উদ্বৃত্ত কাঠ দিয়েই দিঘার মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। সেই বিতর্কেই মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বলেন, "কালীঘাটে, দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক তৈরি করলে কেউ কিছু বলে না। আর জগন্নাথ ধামটা গায়ে লেগে গেল! বলা হচ্ছে নাকি নিমকাঠ চুরি করেছি। নিমকাঠ চুরি করব কেন? আমার বাড়িতেই তো চারটে নিমগাছ আছে। চুরি করব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থা এখনও হয়নি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জগন্নাথ মূর্তি তো কিনতেও পাওয়া যায়।"
এর পরেই ওড়িশা প্রশাসনের উদ্দেশে মমতা বলেন,"শুনছি নাকি দিঘার মন্দিরে যেতে বারণ করা হচ্ছে। কেন? আমি তো পুরী যাই। এত হিংসা? আমি কিন্তু ওড়িশাকে ভালবাসি। ওদের আলুর অভাব হলে বাংলা যোগায়। সাইক্লোন হলে সাহায্য করে।" দিঘার মন্দিরকে জগন্নাথধাম হিসেবে উল্লেখ করা নিয়েও আপত্তি আছে ওড়িশা সরকারের। সে রাজ্যের মন্ত্রী হরিচন্দ্রন পুরী মন্দির প্রশাসনকে এই বিষয়ে একটি চিঠি লিখেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ওই মন্দিরে পুরীর সেবায়েতদের অংশগ্রহণ এবং উদ্বৃত্ত পবিত্র কাঠ দিয়ে দিঘার বিগ্রহ তৈরি করা গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিকল্পনা করে মুর্শিদাবাদে অশান্তি! বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী
ওয়াকফ অশান্তির আঁচ থিতিয়ে যেতেই মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এই অশান্তির দায় বিজেপির উপর চাপালেন তিনি। দাবি করলেন, প্রথম থেকে সমস্ত বিষয় তিনি খতিয়ে দেখেছেন। তাতেই ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, পরিকল্পনামাফিক অশান্ত করা হয়েছে মুর্শিদাবাদকে। তবে শুধু মুখের কথাই নয়, সংবাদমাধ্যমের সামনে যাবতীয় প্রমাণ তুলে ধরবেন বলেও জানালেন তিনি। পাশাপাশি নাম না করে হিন্দু ধর্মস্থানের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের নিশানা করলেন মমতা। আগেই জানা গিয়েছিল, মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে জাফরাবাদে নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবার-সহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঘটনাচক্রে দিন কয়েক আগেই এলাকা থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের স্ত্রীরা। প্রথমে অপহরণের তত্ত্ব শোনা গেলেও পরে সল্টলেকে হদিশ মেলে তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রী দেখা করবেন বলা সত্ত্বেও এলাকায় ফেরেননি তাঁরা। এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি বলেই এদিন মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে তোপ দাগলেন মমতা। বললেন, "আমি ভেবেছিলাম ওদের সঙ্গে কথা বলব কিন্তু তা তো হচ্ছে না। বিজেপি ওদের সরিয়ে নিয়েছে।" প্রশ্ন তুললেন, "কেন এই লুকোচুরি? কী আড়াল করার চেষ্টা?" এরপরই বিজেপিকে নিশানা করে হুঙ্কার ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, "সাম্প্রদায়িক অশান্তি যারা করে, আমরা তাঁদের ঘৃণা করি।" বহিরাগত তত্ত্বও শোনা গেল তাঁর গলায়।
আগে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হবে, তারপর নির্দেশিকা; ওয়াকফ মামলায় মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ মামলা হয়েছিল আগেই। সোমবার ছিল হাই ভোল্টেজ মামলার শুনানি। সংশোধিত আইনের বিশেষ কিছু ধারায় অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশে দেয় কিনা শীর্ষ আদালত, সেদিকে নজর ছিল গোটা দেশের। যদিও আপাতত কেন্দ্রের আর্জি মেনে কোনও নির্দেশিকাই দিল না আদালত। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, বিস্তারিত শোনার পরেই ওয়াকফ আইন নিয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হবে। সেই কারণেই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে ১৫ মে, সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।
জামিন মঞ্জুর হওয়ার পাঁচ দিন পর ফের গ্রেফতার চিন্ময়কৃষ্ণ!
কয়েকদিন আগে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মঞ্জুর করেছিল বাংলাদেশ হাইকোর্ট। এখনও তাঁর জেলমুক্তি হয়নি।
এমন সময় চিন্ময়কৃষ্ণকে ফের গ্রেফতার করা হচ্ছে অন্য একটি মামলায়। চট্টগ্রাম আদালত তাঁকে 'শোন অ্যারেস্টের' (গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে আবার গ্রেফতার) নির্দেশ দিয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের মামলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালতচত্বরে অশান্তি হিংসাত্মক রূপ নিয়েছিল। সেই হিংসায় প্রাণ যায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামের। অভিযোগ, আদালতচত্বরে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় সাইফুলকে। সেই ঘটনাতেই এ বার চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সেই আবেদনই সোমবার গ্রাহ্য করলেন চট্টগ্রাম আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ। সোমবার এই সংক্রান্ত ভার্চুয়াল শুনানিতে 'শোন অ্যারেস্ট'-এর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই শুনানিতে চিন্ময়কৃষ্ণের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম।
শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে ফেলার দাবি গাভাসকরের!
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। সেখানে কি পাকিস্তানকে খেলতে দেখা যাবে না? পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যা পরিস্থিতি, তাতে পাকিস্তানকে বাদ দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের। এর পরেই তিনি বলেন, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ভেঙে ফেলার কথা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে গাভাসকর বলেন, "বিসিসিআই সবসময় ভারত সরকারের কথা অনুযায়ী চলে। তাই আমি মনে করি না এশিয়া কাপের ক্ষেত্রেও এর কোনও বদল হবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপের আয়োজক। তাই এটা নির্ভর করবে পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হবে তার উপর। আমি তো কোনওভাবেই পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের অংশ হতে দেখছি না। আসলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কেমন থাকে, তার উপর অনেককিছু নির্ভর করছে।"
দিলীপের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে বিজেপি? কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য
তিনি মমতার পাশে বসে ছবিও তুললেন। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন একই ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল দিলীপ-মমতা-রিঙ্কুকে। আর তারপরই যেন এক্কেবারে ভূমিকম্প পদ্ম শিবিরের অন্দরে। তারপর থেকেই বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। বিগত কয়েকদিন ধরেই দিলীপের বিরুদ্ধে তোপের পর তোপ ধেয়ে আসছে দিলীপের উদ্দেশে। পাল্টা স্ট্রেট ব্যাটে খেলছেন দিলীপও। চাপানউতোরের আবহে এবার কি দিলীপের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের পথে বিজেপি? সাংবাদিক বৈঠকেই কঠোর কথা শোনা গেল বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের গলাতেও। গত কয়েকদিনের কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে বলতে গিয়ে শমীক স্পষ্টই বললেন, 'যা হয়েছে অভিপ্রেত নয়'। তবে কী দিলীপ ঘোষের বিষয়ে এবার ব্যবস্থা নিতে চলেছে বিজেপি? প্রশ্ন শুনেই সাংবাদিক বৈঠকে শমীক বললেন, "উনি আমাদের দলের সফলতম সভাপতি ছিলেন। বিধায়ক ছিলেন, সাংসদ ছিলেন। তিনি কী করবেন, কী বক্তব্য রাখবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দিলীপ ঘোষের ইঙ্গিত, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, বার্তা যদি দলের কিছু থাকে সে বিষয়ে দলের যাঁরা চিন্তা-ভাবনা করার তাঁরা করবেন। সেই দায়িত্ব আমার নয়।" ঠিক এর পরেই তাঁর সংযোজন, "দল পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখছে। যা করার দল তা সময়ে করবে। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে বিজেপিতে ভবিষ্যতে না হয় তার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে।"