বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমাল ছাড়া বাংলায় সাত দফার লোকসভা ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণই মিটেছে। কিন্তু ভোটগণনা পর্ব মিটতেই জেলায় জেলায় অশান্তি, গোলমালের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকী কলকাতাতেও গোলমালের অভিযোগ উঠে এসেছে।
শনিবার, ৮ জুন, ২০২৪
হারের পর ফুঁসছেন দিলীপ!
জেতা আসন থেকে সরিয়ে দিয়ে তাঁকে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। এই সিদ্ধান্তের পিছনে বড় কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও ভোটের পর সংশয় প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, তাঁকে দলের রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গে দলের বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে বলেও সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
পর পর বিস্ফোরক মন্তব্যের পর এবার ফেসবুকেও ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। ফেসবুক পোস্টে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ওল্ড ইজ গোল্ড।
প্রসঙ্গত, একা দিলীপ ঘোষ নন, ভোটের ফল বেরনোর পর তাঁর সমর্থনে মুখ খুলেছেন সৌমিত্র খাঁ, নীলদ্রিশেখর দানার মতো বিজেপির সাংসদ, বিধায়করা। প্রকান্তরে সুকান্ত মজুমদার সহ রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তাঁরা। দিলীপ ঘোষের মতো প্রার্থীকে জেতা আসন থেকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল, সেই বিষয়টি নিয়েও ঝড় উঠেছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
বিরোধী দলনেতা পদে রাহুলই!
প্রায় ১০ বছর পর বিরোধী দলনেতা পাচ্ছে দেশ। আর সেই পদে দলের প্রধান মুখ রাহুল গান্ধীকে চাইছে কংগ্রেস। শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) বৈঠকে রাহুলকে বিরোধী দলনেতা হিসাবে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করে প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীকে দলের সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দিতে অনুরোধ করে প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। বিরোধী দলনেতার পদ পেতে হলে লোকসভায় মোট আসনের ১০ শতাংশ পেতে হয়।
শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪
ভোটের ফলে শিক্ষা হয়েছে; ভুল স্বীকার করলেন প্রশান্ত কিশোর
তিন বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রায় অক্ষরে অক্ষরে মিলিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে এবার যখন লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগেই বিজেপি এবং এনডিএ-র একতরফা ফলের ভবিষ্যদ্বাণী করেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, তখন তা নিয়ে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রশান্ত কিশোরের সেই ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
দলবদলের জল্পনা উড়িয়ে খড়্গের ডাকে দিল্লি চললেন অধীর!
ভোটে হারার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার মাঝেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকে সাড়া দিয়ে কংগ্রেসের বর্ধিত কার্যকরী কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি চললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। যাওয়ার আগে হারের কারণ নিয়ে আবার আক্রমণ শানালেন রাজ্যের তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে।
শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের বর্ধিত কার্যকরী কমিটির বৈঠকে হাজির থাকতে অধীর রওনা দিলেন দিল্লি। শুক্রবারই বহরমপুর ছেড়ে দিল্লি রওনা দেন প্রদেশ সভাপতি। যাওয়ার আগে সরাসরি আক্রমণ শানান তৃণমূলের বিরুদ্ধে। টানা বহরমপুর থেকে জিতে আসা অধীর এ বার পরাস্ত হয়েছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে।
অবসর নিয়েও কিছুটা আবেগপ্রবণ সুনীল ছেত্রী!
কুয়েত ম্যাচের পর হোটেলে ফিরে তিনি তখন ক্লান্ত। অবসর নিয়েও কিছুটা আবেগপ্রবণ। তবু নৈশভোজের পর নিজের ঘরে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের পর মিক্সড জোনে তাঁর মুখ থেকে প্রত্যেকেই কিছু শোনার আশায় থাকলেও তিনি ফাঁকি দিয়ে পরিবারের সঙ্গে তিন নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে যান। কিন্তু হোটেলে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সুনীল।
অধিনায়ক থেকে সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া সুনীল বলেছেন, "অবসর ব্যাপারটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। পরশু দিন দল কাতারের উদ্দেশে রওনা হবে। শুক্রবার রিকভারি সেশন রয়েছে। এখনও দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে রয়েছি।
এর পরে সুনীলের সংযোজন, "আট তারিখ দল কাতারে যাবে। সেই যাত্রাটা আমি খুব মিস করব। নিজের যা ছিল সবটা দিয়ে দিয়েছি। খুব ভাল লাগত যদি কুয়েত ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেতাম। তবে এক পয়েন্ট পেয়েও এখনও লড়াইয়ে রয়েছি। আশা করি কাতারে ছেলেরা ভাল খেলবে।"
ম্যাচের পরেই তাঁকে কাঁদতে দেখেছিলেন সমর্থকেরা। সাধারণত আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখেন। কিন্তু সুনীল বললেন, "কাঁদতে চাইছিলাম না। তবুও কান্না পেয়ে গেল। ম্যাচের সময় কিছু মনে হয়নি। কিন্তু ম্যাচের পর আচমকাই কান্না চলে আসে। জীবনে হয়তো আরও অনেক কিছু পাব বা পাব না। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে আর খেলতে নামব না, এটা ভেবে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।"
রাজ্যের মানুষের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন; বঙ্গবাসীকে তুলোধনা তথাগতর
লোকসভা ভোটে লক্ষ্যের কাছাকাছিও পৌঁছতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। এমনকী জেতা আসনও হাত থেকে চলে গিয়েছে। মোট ১২ টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। একটি আসনে কংগ্রেসকে বাদ দিলে বাকি সব কেন্দ্রেই ফুটেছে ঘাসফুল।
'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' সম্পর্কে বলতে গিয়ে তথাগত রায় বলেন, "তৃণমূলের সব দুর্নীতি, সব চুরি ঢাকা পড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। তবে এর একটা ভয়াবহ পরিণাম আছে।" ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তথাগত বলেন, "পৃথিবীর নিয়ম হচ্ছে কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। আর আজ রাজ্যের মানুষের মানসিকতা হল, বিনা পরিশ্রমে টাকা পাওয়া। সেটাই শিখিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়িতে বসে আহার-নিদ্রা করেই যদি টাকা পাওয়া যা, তাহলে তার থেকে বেশি আনন্দ আর কিছুতে নেই।"