বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা কাটাতে নয়া উদ্যোগ সুপ্রিম কোর্টের। এবার হাই কোর্ট গুলিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল শীর্ষ আদালত। ২২৪-এ ধারা অনুসারে শীর্ষ আদালত অ্যাড হক বিচারপতি নিয়োগ করতে পারে। মূলত ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিস্পত্তির লক্ষ্যে অস্থায়ী বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আসলে বিচারপতি এবং বিচারবিভাগের কর্মীর অভাবে বছরের পর বছর দেশের বিভিন্ন হাই কোর্টে হাজার হাজার মামলা ঝুলে। এর মধ্যে অনেক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অন্তত ফৌজদারি মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন বলে মনে করছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশের হাই কোর্টে ৩৫ বছরের পুরনো মামলাও ঝুলে রয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের হাই কোর্টে ঝুলে থাকা মামলার পরিমাণ কয়েক লক্ষ। দ্রুত বিচারপতি নিয়োগ না হলে এই মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব নয়।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২৫
আরজি কর মামলায় রাজ্যের আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না, তা জানা যাবে সোমবার
আরজি কর মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে রাজ্যের আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না, তা জানা যাবে সোমবার। আজ, বুধবার মামলার শুনানিতে এমনটাই জানায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সাব্বির রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
বিচারপতি রাজ্যের তরফে আইনজীবী দেবাশিস রায়কে জিজ্ঞাস করেন রাজ্যের এই মামলা সম্পর্কে নির্যাতিতার পরিবার কিছু জানে কি না ? উত্তরে তিনি জানান, এই মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না নির্যাতিতার মা-বাবা। সরকারি আইনজীবীর এই মন্তব্যের পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানান সোমবার রাজ্যের এই আবেদন গ্রহণ করা হলে, নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য শুনতে চান তিনি।
অন্যদিকে, মামলার শুনানির শুরুতেই রাজ্যের আবেদনে অসম্মতি দেখান সিবিআই-এর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার। তিনি জানান, একমাত্র তদন্তকারী সংস্থাই পারে নিম্ন আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন জানাতে।
স্কুল সিলেবাসে বড় বদল!
স্কুল সিলেবাসে এবার পোকসো আইন। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হল পোকসো আইন। কোন অপরাধে কী শাস্তির কথা বলা আছে? তা বলা হয়েছে পাঠ্যবইয়ে। কবিতার মাধ্যমে উল্লেখ করা হল পকসো আইনের বিভিন্ন অংশ। অষ্টম শ্রেণির পাঠক্রমে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই তা অন্তর্ভুক্ত করা হল। পোকসো আইনের পাশাপাশি চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই গুড টাচ ব্যাড টাচ আরও বড় ভাবে সিলেবাসে নিয়ে আসা হল। শুধু পোকসো নয়, স্কুলের পাঠ্যবইতে এবার আসতে চলেছে আত্মসচেতনতার পাঠ। সেইসঙ্গে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত সচেতনতাও স্থান পেল স্কুলের পাঠ্য বইতে। ঠিক কী কী বিষয় পড়ুয়াদের পড়তে হবে?সূত্রের খবর অনুযায়ী, সাইবার অপরাধ কী এবং এই অপরাধ করলে কী শাস্তি তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে পাঠ্যবইতে। অশ্লীল কনটেন্ট পাঠালে কী শাস্তি হয়? কীভাবে তা এড়ানো যায়? অশ্লীল কন্টেন্ট যাতে কেউ তৈরি করতে না পারে তার জন্য কীভাবে সতর্ক হতে হবে? এ বিষয়েও জানতে হবে পড়ুয়াদের।
ইডিকে লাখ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের!
সাজা দিতে গিয়ে বিপদে পড়ল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আদালতে এই নিয়ে ব্যাপক তুলোধনা। ইডিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করল বম্বে হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হল, তারা সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করতে পারে না। আইনের মধ্যে সিমাবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের এক রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী রাকেশ জৈনের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনেছিল ইডি। এক ব্যক্তি, যিনি ওই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর থেকে সম্পত্তি কিনেছিলেন, তিনি চুক্তিভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মুম্বইয়ের ভিলে পার্লে পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেন। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই আর্থিক তছরুপের তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে ওই ব্যবসায়ীকে সমন পাঠানো হয় এই মামলায়।
মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি মিলিন্দ যাদবের সিঙ্গল বেঞ্চ ইডির সমন খারিজ করে দিয়ে বলে, "ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিনা কারণে মামলা করা হয়েছে। আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দাঁড়ায় না।" ইডিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালতের তরফে বলা হয়, "তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছে কড়া বার্তা পৌঁছনো উচিত যে সাধারণ নাগরিকদের যেন হেনস্থা না করা হয়। ইডির মতো সংস্থাদের সময় এসেছে আইন নিজের হাতে না নেওয়া এবং সাধারণ মানুষদের হেনস্থা না করা।"
ইডির পাশাপাশি যে ব্যক্তি প্রথম অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাকেও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে বম্বে হাইকোর্ট। আদালতের তরফে আর্থিক তছরুপের ব্যখ্যা দিয়ে বলা হয় যে যখন কোনও ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধির জন্য সকলকে আঁধারে রেখে কোনও আর্থিক প্রতারণা করে, তখন তা আর্থিক তছরুপ হিসাবে গণ্য হয়।
নতুন বছরে শুরুতেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বাড়াল নবান্ন!
নতুন বছরে শুরুতেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন বাড়াল নবান্ন। কাদের বেতন বাড়ল? রাজ্যের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র (এসএসকে), মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র (এমএসকে)'র শিক্ষক, শিক্ষিকাদের ভাতা বাড়াল রাজ্য সরকার। এই দুই কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোট ভাতার ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা বর্ধিত হারে বেতন পাবেন। এই মর্মে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কুল শিক্ষাদপ্তর। এসএসকে'র শিক্ষকদের সহায়ক ও শিক্ষিকাদের সহায়িকা বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে সহায়ক ও সহায়িকারা পান ১১ হাজার ২৫৫টাকা। এই ভাতা বেড়ে হচ্ছে ১১ হাজার ৫৯৩টাকা। মুখ্য সহায়ক, সহায়িকারা পেতেন ১১ হাজার ৬৩৮ টাকা। তা বেড়ে হতে চলেছে ১১ হাজার ৯৮৭টাকা। অন্যদিকে এমএসকে'র শিক্ষকদের সম্প্রসারক ও শিক্ষিকাদের সম্প্রসারিকা বলা হয়ে থাকে। সম্প্রসারক ও সম্প্রসারিকারা বর্তমানে ১৪ হাজার ৬৩২ টাকা ভাতা পান। তা বেড়ে হবে ১৫ হাজার ৭১ টাকা। মুখ্য সম্প্রসারক ও সম্প্রসারিকারা পান ১৫ হাজার ৭৫৮ টাকা। এঁদের ভাতা বেড়ে হবে ১৬ হাজার ২৩১ টাকা।
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর!
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে প্রথমেই মালদহে পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই মালদহে গিয়েছিলেন মমতা। মঙ্গলবার ইংরেজবাজারে পরিষেবা প্রদান সভায় যোগ দিলেন তিনি। এই সভা একাধিক ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, একাধিক বিষয়ে এদিন আলোকপাত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মালদহের মঞ্চ থেকে ফের আবাসের টাকা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার ঘরের টাকা, দেয়না। তাও ১২ লক্ষ পরিবারের কাছে টাকা দিয়েছি। আরও ১৬ লক্ষ পরিবারকে দেওয়া হবে। বাড়ি নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। আগামী দেড় বছরে বাড়ি হবে নিশ্চিত থাকুন। আমরা যা বলি তাই করি।’’উত্তরোত্তর আরও বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মালদহের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা জানালেন, "যতদিন বাঁচবেন ততদিন পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মা বোনেদের এটা ভান্ডার। এই ভান্ডার উত্তরোত্তর বাড়তে থাকবে। মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন না। ওদের পড়তে দিন। মেয়েরাই দেখবেন একদিন সংসার চালাবে।"
সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে আদালতে আবেদন রাজ্যের!
সোমবার আর জি কর মামলার সাজা ঘোষণার পরেই অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সময় এতটুকুও নষ্ট না করে মঙ্গলবার দিনের প্রথমার্ধ্বেই আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হাই কোর্টে আবেদন জানান। আদালত সূত্রের খবর, মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। বিচারক অনির্বাণ দাসের যুক্তি ছিল, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হল না। সাজা শুনে আমজনতার সিংহভাগের মতো অখুশি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, "আমরা প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি করেছিলাম। এখনও তাই করছি। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।"