রাজ্যে অতিথি শিক্ষকদের ধরনা, আন্দোলন না করার আবেদন করলেন তৃণমূলের মহাসচিব। গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি অতিথি শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই এই আবেদন করেছেন। যদিও, অতিথি শিক্ষকদের মতে, এটা তাঁদের আন্দোলন ভাঙার একটা চক্রান্ত। নিজেদের দাবিদাওয়াগুলি তুলে ধরতে আজই তাঁরা হাজরা মোড়ে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজ গেস্ট লেকচারারদের ১০ জন প্রতিনিধিকে আমি ডেকেছিলাম, তাদের কি সমস্যা আছে সেগুলি বোঝার জন্য। আমি বিশদে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে তাঁদের দাবির বিষয়গুলি কি। নির্বাচনের আগে তাঁরা যখন দফতরে দেখা করতে যান, আমরা বলেছিলাম নির্বাচনের সময় এগুলি পরীক্ষা করার সময় নয়। তারপর তাঁরা আবার তাঁদের দাবি নিয়ে এসেছিল এবং তাঁদের ১০ জন প্রতিনিধি গোপাল ঘোষের নেতৃত্বে আসেন। আলোচনা করেন। আমি আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের কাছে অনুরোধ করেছি যে তাঁরা যেন আন্দোলন কর্মসূচি, ধরনা এগুলি থেকে এখন বিরত থাকেন।"
পার্থ বাবু আরও বলেন, "আমরা দেখছি। সমস্ত কলেজগুলি থেকে তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি এবং আন্তরিকতার সাথে আমরা তাঁদের বিষয়টিকে দেখব। কি ব্যবস্থা করা যায় সেই নিয়েও আমরা ভাবছি। আমি তাঁদের অনুরোধ করেছি, এখন যেন তাঁরা আর নতুন করে কোনও ধরনা বা কর্মসূচির মধ্যে না যায়। আলোচনার টেবিলে তাঁরা যখন আছেন, তখন আলোচনার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা উচিত।
এটা ঠিক এই গেস্ট লেকচারাররা কেউই শিক্ষা দফতরের দ্বারা নিযুক্ত হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের দরকারে নিয়েছে। আমি তাঁদের কাছে আবেদন করছি, আলোচনা যখন হচ্ছে তখন তাঁরা যেন ধৈর্য সহকারে অপেক্ষা করেন।"
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমকাজে সমবেতন, স্থায়ীকরণের দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষকরা। এর আগে বহুবার তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু, প্রতিবারই আশ্বাস মিললেও তা কাজে পরিণত হয়নি বলে অভিযোগ অতিথি শিক্ষকদের। এবার শিক্ষামন্ত্রীর আন্দোলন না করার আবেদনকে আন্দোলন ভাঙারই একটা চেষ্টা বলে মনে করছেন তাঁরা। আজ তাঁরা হাজরা মোড়ে একটি আন্দোলন কর্মসূচি করবেন বলেও জানিয়েছেন।
পার্থ বাবু আরও বলেন, "আমরা দেখছি। সমস্ত কলেজগুলি থেকে তাঁদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি এবং আন্তরিকতার সাথে আমরা তাঁদের বিষয়টিকে দেখব। কি ব্যবস্থা করা যায় সেই নিয়েও আমরা ভাবছি। আমি তাঁদের অনুরোধ করেছি, এখন যেন তাঁরা আর নতুন করে কোনও ধরনা বা কর্মসূচির মধ্যে না যায়। আলোচনার টেবিলে তাঁরা যখন আছেন, তখন আলোচনার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা উচিত।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমকাজে সমবেতন, স্থায়ীকরণের দাবিতে বহুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষকরা। এর আগে বহুবার তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু, প্রতিবারই আশ্বাস মিললেও তা কাজে পরিণত হয়নি বলে অভিযোগ অতিথি শিক্ষকদের। এবার শিক্ষামন্ত্রীর আন্দোলন না করার আবেদনকে আন্দোলন ভাঙারই একটা চেষ্টা বলে মনে করছেন তাঁরা। আজ তাঁরা হাজরা মোড়ে একটি আন্দোলন কর্মসূচি করবেন বলেও জানিয়েছেন।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন