সিঙ্গুর আন্দোলনের কথা সবার মনে আছে। কি করে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনাকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়ে ছিল তা সম্ভবত ভুলতে পারেনি রাজ্যের মানুষ। আর তাই ৯ বছর পার হবার পরেও বার বার ফিরে আসে সেই সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গ।
টাটাদের কারখানা করতে না দেওয়া বড় ভুল ছিল আমাদের। তাতে শিল্পমহলে ভুল বার্তা গিয়েছে। সিঙ্গুরের মাটি তৃণমূলের নীতিকে বাতিল করেছে।
সিঙ্গুর নিয়ে স্বীকারোক্তি মুকুল রায়ের।
সিঙ্গুর আন্দোলন ভুল ছিল বলে তিনি জানান, "টাটাদের কারখানা করতে না দেওয়া বড় ভুল ছিল। তাতে শিল্পমহলের কাছে ভুল বার্তা গিয়েছে। সিঙ্গুরের মাটি তৃণমূলের নীতিকে খারিজ করেছে বলেও তিনি দাবি করেন।" মুকুল আরও বলেন, "আমরা বলছি কারণ আমরা তখন তৃণমূলে ছিলাম। সিঙ্গুরের জমি এখন না চাষের কাজে লাগছে, না কারখানার কাজে লাগছে। তাই সিঙ্গুরের মাটি তৃণমূলের নীতিকে খারিজ করেছে। জোচ্চুরি, চুরি যদি না হত, তবে বিজেপি বাংলায় ৩০টি আসনে জিতত। বাংলায় তৃণমূলের শেষের শুরু হয়েছে। তাই একাধিক পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিধায়করা সবাই লাইন দিয়ে গেরুয়া ছাতার তলায় আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুলিশ ছাড়া আর কেউ নেই। সেই জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি শাড়ি পরবেন, কি বলবেন, কি খাবেন, কি চটি পরবেন, কোথায় যাবেন তা ঠিক করবে প্রশান্ত কিশোর। মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্বতা হারিয়ে গেছে সেটা উনি একপ্রকার স্বীকার করে ফেলছেন। প্রশাসন বাদ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন শূন্য।
টাটাদের কারখানা করতে না দেওয়া বড় ভুল ছিল আমাদের। তাতে শিল্পমহলে ভুল বার্তা গিয়েছে। সিঙ্গুরের মাটি তৃণমূলের নীতিকে বাতিল করেছে।
সিঙ্গুর নিয়ে স্বীকারোক্তি মুকুল রায়ের।
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন