রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক ঝামেলা লেগেই আছে। সাম্প্রতিক কালে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে-সব দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছেন, তার বেশির ভাগেরই দায়ভার পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের। কিন্তু সেই সব দায় এখন তাঁদের ঘাড়ে চাপছে বলে গতকাল অভিযোগ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিবের বক্তব্য, প্রাথমিক স্তরে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত এক হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে যে-নির্দেশ দিয়েছে, সেটারও দায়ভার বাম আমলের।
"শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশে আসলে মুখ পুড়ল আগের বামফ্রন্ট সরকারের। ওই আমলেই প্রাথমিকে চাকরি না-পেয়ে মামলা করেন বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। তবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করার স্পর্ধা আমাদের নেই"। মন্তব্য মন্ত্রীর।
পর্ষদের এক কর্তা জানান, ২০০৬ সালে বাম আমলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, যাঁরা এক বছরের বেসিক ট্রেনিং নিয়েছেন, তাঁরা ২২ নম্বর পাবেন। কিন্তু ২০০৯-এ নিয়োগের জন্য প্যানেল তৈরির সময় প্রশিক্ষিত কিছু প্রার্থীকে ওই বরাদ্দ ২২ নম্বর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। চাকরিও পাননি তাঁরা। যাঁরা ওই নম্বর ও চাকরি পাননি, তাঁরাই ২০০৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাই ধীরে ধীরে শীর্ষ আদালতে যায়। সম্প্রতি তাঁদের নিয়োগ করার রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিবের বক্তব্য, প্রাথমিক স্তরে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত এক হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে যে-নির্দেশ দিয়েছে, সেটারও দায়ভার বাম আমলের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন