মিড ডে মিল-এর খরচ কমাতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্রের সরকার। এবার মাছে-ভাতে বাঙালিকে ছাড়তে হতে পারে। বদলে জোয়ার-বাজরা ধরাতে উঠেপড়ে লেগেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এবার থেকে বাজরার খিচুড়ি, খাকরা বা বাজরার রুটি মেনুতে নিয়মিত হয়ে থাকতে পারে এই রাজ্যের স্কুলগুলির মিড ডে মিলে।
সেক্ষেত্রে মূলত রাজস্থান, গুজরাত বা পাঞ্জাবের মতো পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় খাদ্যাভ্যাসের অনুপ্রবেশ ঘটবে বাংলাতেও। এর পাশাপাশি, সব্জির জন্য কিচেন গার্ডেনের উপর অনেক বেশি জোর দিচ্ছে তারা। অর্থাৎ, স্কুলগুলি নিজেদের সব্জি নিজেরাই ফলিয়ে নিক, এমনই চায় কেন্দ্র।
মিলেট শস্যকে মিড ডে মিলে আনতে আগেও ‘অনুরোধ’ করা হয়েছিল।
কিন্তু সম্প্রতি যে রূপরেখা বেরিয়েছে, তাতে স্পষ্ট, এবার মিলেট মেনুতে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য স্কুলগুলি। কেন মিলেট, তার লিখিত ব্যাখ্যাও দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে ক্যালসিয়াম বেশি, আয়রন বেশি, ফাইবার বেশি। এসব খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) কম হওয়ায় ডায়াবেটিসের জন্যও ভালো। রয়েছে আরও পুষ্টিগুণ। তালিকা করে তা তুলে ধরা হয়েছে। দক্ষিণ ভারতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিড ডে মিলের হেঁসেল রয়েছে (এ রাজ্যে নেই), তাদের দিয়ে একটা সমীক্ষাও করিয়েছে তারা। মিলেটের বিভিন্ন খাবার খাইয়ে নাকি বাচ্চাদের মধ্যে শারীরিক উন্নতি দেখা গিয়েছে। তাই রাজ্যগুলিকে নির্দেশ, মিড ডে মিলে মিলেট রাখতে হবে। তার জন্য মেনুও ঠিক করে নিতে বলা হয়েছে।
মিলেট শস্যকে মিড ডে মিলে আনতে আগেও ‘অনুরোধ’ করা হয়েছিল।
Loading...
Loading...
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন