বাড়ল লকডাউনের সময়সীমা। ১৩ এপ্রিল নয়, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে বহাল থাকবে লকডাউন। নবান্নে এমনটা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যজুড়ে বহাল লকডাউন। আক্রান্তের সংখ্যা ২২ । মারা গিয়েছেন ২ আক্রান্ত। সবমিলিয়ে করোনার কাঁটায় তটস্থ গোটা রাজ্য। পরিস্থিতির পর্যাচলোচনা করতে দফায় দফায় বৈঠক নবান্নে দলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজও নবান্নে একটি বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখাই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখন কোনও পণ্যের সমস্যা নেই। সবকিছুই সরকার দেখে নেবে। চিন্তার কারণ নেই। এতে কোনও সমস্যা হবে না। পাড়ায় পাড়ায় মুদির দোকান খোলা থাক, এটা চাই। বাজার করুন সকলে। কিন্তু দুরত্ব বজায় রেখেই করুন। পাশাপাশি, তিনি জানান, নরম্যাল সময়ে বাজার দোকান চলবে। রেশন দোকানের মাল যেমন কম না থাকে। সবাই যেন খাবার পায় নির্দেশ দেন খাদ্য সচিব মনোজ পন্থকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, রাজ্যে প্রায় ২০ লক্ষ গরীব মানুষ যাদের রেশন কার্ড নেই, তাঁদেরও খাবার দিতে হবে। পাশাপাশি, হোম ডেলিভারি যারা করছে, তারা করবে বলেই জানান তিনি।
করোনা নিয়ে সকলে ব্যস্ত থাকায় রক্তের দিকে তাকানো হয়নি। এদিনের বৈঠকে অভিযোগ মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী বলন, রাজ্যে রক্তের একটা সমস্যা হয়েছে সেটা সঠিক। সেই কারণেই এখন পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে রক্তদান করার ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুলিশ ও প্রতিটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫০ প্যাকেট রক্তদান করা হবে। আপাতত পরিস্থিতি বদল হলে তারপরে রাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে রক্তদানের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
এই রাজ্যের অনেকেই মিষ্টি খেতে ভালবাসেন। পাশাপাশি, যে চাষিদের দুধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেটাও আমাদের দেখতে হবে। তাই জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অল্প অল্প করে মিষ্টির দোকান খোলা থাক। বেলা ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে। পাড়ায় পাড়ায় মিষ্টির দোকান খোলা থাকুক বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের সমস্ত কর্মীরা যাতে সময়ে বেতন পায়, তা দেখতে অর্থসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। কালকের মধ্যে সরকারি কর্মীরা যাতে বেতনের টাকা পায় সেটা দেখে নিতেও নির্দেশ দেন তিনি। এর পরে তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষদের সামাজিক পেনশন ২ মাসেরটা একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। একিসাথে রাজ্যের বেসরকারি সংস্থাকে তিনি নির্দেশ দেন, কর্মীদের বেতন সময়ে দেবার।
করোনা নিয়ে সকলে ব্যস্ত থাকায় রক্তের দিকে তাকানো হয়নি। এদিনের বৈঠকে অভিযোগ মেনে নেন মুখ্যমন্ত্রী বলন, রাজ্যে রক্তের একটা সমস্যা হয়েছে সেটা সঠিক। সেই কারণেই এখন পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে রক্তদান করার ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুলিশ ও প্রতিটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে ৫০ প্যাকেট রক্তদান করা হবে। আপাতত পরিস্থিতি বদল হলে তারপরে রাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে রক্তদানের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
Loading...
রাজ্যের সমস্ত কর্মীরা যাতে সময়ে বেতন পায়, তা দেখতে অর্থসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। কালকের মধ্যে সরকারি কর্মীরা যাতে বেতনের টাকা পায় সেটা দেখে নিতেও নির্দেশ দেন তিনি। এর পরে তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষদের সামাজিক পেনশন ২ মাসেরটা একসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। একিসাথে রাজ্যের বেসরকারি সংস্থাকে তিনি নির্দেশ দেন, কর্মীদের বেতন সময়ে দেবার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন