উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আদালতের বিচারাধীন। কবে এই নিয়োগ জট কাটবে তা বলা এখনি সম্ভব নয়। আর এই নিয়োগ জট কাটার আগেই সাত সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করল রাজ্য সরকার। দ্রুত নিয়োগের কাজ শেষ করতে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বড় রকমের পরিবর্তন হতে চলেছে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়। এবার থেকে নয়া নিয়মেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ হবে। এই কথা আগেই জানান হয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বদল হওয়া বিধিতে বলা হয়েছেঃ-
নিয়োগ হবে কেবল লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে। এবার কোনও মৌখিক পরীক্ষা থাকবে না।
এবার থেকে বাধ্যতামূলক ভাষার পরীক্ষা। এরপর ৫০ নম্বর থাকবে ইংরেজি এবং ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে যে মাধ্যমের স্কুলে পরীক্ষার্থী পড়াবেন সেই ভাষার ওপর লিখিত পরীক্ষা হবে। যেমন বাংলা মাধ্যমের জন্য বাংলা তেমনি হিন্দি মাধ্যমের জন্য হিন্দি ভাষার উপর পরীক্ষা হবে।
এরপর পরীক্ষার্থী যে বিষয়ের জন্য আবেদন করবেন, সেই বিষয়ের উপর ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে। টেট বা প্রিলিমিনারি টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই তবেই লিখিত এই মোট ২০০ নম্বরের খাতা দেখা হবে। এবার থেকে থাকছে না ইন্টারভিউ। এই দুই লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতেই মেধা তালিকা তৈরি করবে কমিশন। এবার থেকে সফল পরীক্ষার্থীদের জন্য কোন কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া থাকবে না। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ধাঁচেই চাকরির পোস্টিং দেওয়া হবে।
কমিশন সূত্রে খবর, উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ জটিলতা কাটলেই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ভাববে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এই নিয়োগ জটিলতা কাটাতে এবং আইনি জট কাটার পরে নিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করতে ইতিমধ্যে গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন