আদালতে দ্রুত আপার জট কাটলেই চলতি বছরে নিয়োগপত্র দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে কমিশন। হাইকোর্টের রায় হাতে আসার পরে দুটি ফেজে কাউন্সেলিং করা হবে। অনলাইনে কাউন্সেলিং করার জন্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে কমিশন। এর জন্য ৭ সদস্যের টাস্ক ফোর্সও তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে কাউন্সেলিং এর পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমেই কিভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখছে টাস্ক ফোর্স।
মূলত দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা টাস্ক ফোর্সের মূল লক্ষ্য।
স্কুলশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, "একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে SSC-র পেন্ডিং বিষয়গুলি দেখার জন্য। এই কমিটি পরামর্শ দেবে ও সেই অনুযায়ী কাজ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। "আপার প্রাইমারি স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে জটিলতা রয়েছে তা কাটাতেই মূলত এই কমিটি কাজ করবে। আপার প্রাইমারি নিয়ে হাইকোর্টে যে মামলা চলছে তার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পরামর্শ দেবে কমিটি। এর পাশাপাশি, আদালতে নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে নিলে নিয়োগের পরবর্তী ধাপের প্রক্রিয়াগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যও পরামর্শ দেবে। কমিটির পরামর্শ মেনেই কাজ করবে কমিশন। আপার প্রাইমারি স্তরে ১৪৩৩৮ টি পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও আইনি জালে জড়িয়ে আছে। মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলেও তার পরবর্তী ধাপে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে। সরকারের তরফে দীর্ঘদিন ধরে এই জটিলতা কাটানোর চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবার জটিলতা কাটাতে আরও তৎপর হল রাজ্য সরকার। যদিও হবু শিক্ষকদের মতে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কারণেই নিয়োগ নিয়ে এত তৎপরতা দেখাচ্ছে সরকার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন