গভীর রাতে আচার্য সদনের সামনে থেকে চাকরি প্রার্থী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ বলেন, 'গোটা রাজ্যে ১৪৪ ধারা। কাউকে মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না।' যেই আন্দোলন করতে যাচ্ছে তাঁকে তুলে নিয়ে চলে যাচ্ছে। প্রায় ১০ বছর কেটে গেল আশ্বাস দিয়ে দিয়ে। শিক্ষামন্ত্রীর মুখ দেখাবার মতো পরিস্থিতি নেই। এই সরকার না যাওয়া পর্যন্ত কারও কোনও দাবি মিটবে না। সমস্যা মিটবে না।'
উল্লেখ্য, গভীর রাতে আচার্য সদনের সামনে থেকে চাকরি প্রার্থী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিল বিধাননগর পুলিশ। জায়গা খালি করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। তাঁদের শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দেওয়া হলে বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। রাত দুটো নাগাদ শিয়ালদা স্টেশন চত্বরে ফের অবস্থানে বসেন বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা। মাঝ রাতে এহেন ঘটনার জেরে আরও বড় আন্দোলন সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
শুক্রবার আপার প্রাইমারির ১৪৩৩৯ পদে নিয়োগের দাবিতে পথে নামে টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল বিকাশভবন অভিযান। কিন্তু তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। ফলে স্কুল শিক্ষা কমিশনের (SSC) দফতরের সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। সংগঠনের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ এবং সম্পাদক আনিসুর রহমান জানান, "গেজেট পদ্ধতি মেনে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করলে আন্দোলন আরও বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।"উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গর প্রায় সবক-টি জেলা থেকে প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে বিকাশভবন অভিযানে সামিল হন সল্টলেকে।
তাঁদের কেউ বাসভাড়া করে কেউ অনেকটা পথ হেঁটে এসে সাধারণ যানবাহনে চাকরির দাবি জানাতে কলকাতায় পৌঁছন। অধিকার ছিনিয়ে নিতে মরিয়া ছিলেন প্রত্যেকেই। আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল বিকাশ ভবনে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন। কিন্তু বৈঠকে জট কাটেনি। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, এটা আদালতের বিষয়। আইনি জট কাটলে ১০ দিনের মধ্যে নিয়োগের কাজ শেষ করা হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন