উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া আগেই বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছেন ,"নিয়োগ প্রক্রিয়া আইন মেনে হয়নি। পুরো প্রক্রিয়াই অনিয়মে ভরা। প্যানেল থেকে মেরিট লিস্ট, পুরো তালিকাই বাতিল"। আদালতের এই রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার।
আদালতের এই রায়ের পর স্বচ্ছতা বজায় রেখে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পক্ষেই সওয়াল করছেন স্কুল শিক্ষা দফতর ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তাদের একাংশ। বিতর্ক না বাড়িয়ে ও দ্রুত পদক্ষেপের ভাবনাও শুরু হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ' আমরা রায়ের কপি হাতে পেয়েছি। এই রায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে।
কমিশন ও দফতরের কর্তারা বলছেন, সে ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে না গিয়ে কোর্টের নির্দেশিকা মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হলে বিধানসভা ভোটের বাজারে শাসকদলের মুখরক্ষাও হবে। হাইকোর্ট আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর কথা বলেছে। কমিশন ও দপ্তরের কর্তাদের কেউ কেউ সেই নির্ঘণ্ট এগিয়ে আনার পক্ষপাতী বলে সূত্রের খবর। সে ক্ষেত্রে রায় প্রদানকারী সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে উপযাচক হয়ে এ মাসেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর আর্জি জানানোর কথা ভাবা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১১ ও ২০১৫ সালে টেট হয়েছিল। টিচার এলিজিবিটি টেস্ট বা টেটে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তাঁদের ভেরিফিকেশনের জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, যাঁরা যোগ্য নন তাঁদেরও তালিকায় নাম ছিল। আর্থিক কারচুপির অভিযোগও ওঠে। মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে চলছিল। সেই মামলাতেই এই রায় দিলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, "শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ শিক্ষকের উপরেই ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। টেটে যাঁদের নাম এসেছে তা যথাযথ নয়। তাই মেরিট লিস্ট বাতিল করা হল।"
2021 the end
উত্তরমুছুন2021 the end
উত্তরমুছুন