শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। ২০১৪-র প্রাথমিক টেট মামলায় ফের নয়া মোড়। ফের উত্তরপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দিল আদালত। মার্চে এই মামলার ফের শুনানি। ২০১৪ সালের টেটে ৬ টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই একপ্রস্থ মামলা-পালটা মামলা হয়েছে। সব জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে গত ২৩ ডিসেম্বর সফল প্রার্থীদের নথি যাচাই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যদিও বিজ্ঞপ্তি জারির পরও একাধিক মামলা দায়ের হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে সিনিয়র আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত দাবি করেন, ২৩ তারিখের ওই বিজ্ঞপ্তি শুধুমাত্র সফল পরীক্ষার্থীদের জন্য সীমাবদ্ধ। যারা বর্তমানে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা ওই ভুল প্রশ্নগুলির নম্বর পেলে সফল হতে পারতেন কিনা তা ফের তাদের উত্তর পত্র যাচাই করে তবেই সেই সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি একটি রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি জানান, মামলাকারীদের উত্তরপত্র ফের যাচাই করার। বলা হয়েছে, ৬ টি ভুল প্রশ্নের নম্বর দেওয়ার পর কতজন সফল হলেন সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। রিপোর্ট মেলার পর ও এই মামলার ভবিষ্যতের উপর তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকটাই নির্ভর করবে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ভরদ্বাজ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন