করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের একেবারে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ভারত। ইতিমধ্যেই দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। প্রথম দু-দিনে প্রায় ২ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়ে রেকর্ডও করে ফেলেছে দেশ। এরই মধ্যে এই মারণ ভাইরাস সংক্রমণের দৈনিক গ্রাফও অনেকটা স্বস্তি দিচ্ছে দেশকে। সোমবার দেশের দৈনিক মৃতের সংখ্যাটা কমতে কমতে নেমে এসেছে দেড়শোরও নিচে। শুধু তাই নয়, অনেকটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণও। এমন সময় বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রের সরকার।
জানা গিয়েছে, ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও ৬১ লক্ষ পেনশনভোগীদের জন্য বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশে কেন্দ্রের সরকার মহার্ঘ ভাতা বাড়াতে পারে। এই ইস্যুতে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান হার ২৮ শতাংশ ধরেই ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স (ডিএ) ও ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর, অবসরপ্রাপ্তদের জন্য) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেবে।
বর্তমানে বেসিক পে বা পেনশনের ১৭ শতাংশ ডিএ হিসেবে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। এই ১৭ শতাংশের উপর আরও ৪ শতাংশ বেশি ডিএ দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। ফলে ১৭ শতাংশ থেকে ডিএ বেড়ে হতে চলেছে ২১ শতাংশ। কর্মচারীদের একটা অংশ মনে করছে জানুয়ারি থেকেই বর্ধিত ডিএ দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এই ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে আগেই জানা গিয়েছিল যে, কনফেডারেশন অফ সেন্ট্রাল গর্ভানমেন্ট এমপ্লয়িজ অ্যান্ড ওয়ার্কার্স-এর কর্মীরা সরকারি কোষাগারের স্থিতি দেখেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে অনুরোধ করেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান হার ২৮ শতাংশ ধরেই ডিএ ও ডিআর দেওয়ার জন্য। কিন্তু গতবছর এপ্রিলে করোনা মহামারির কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র ৫০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও ৬১ লক্ষ পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা আটকে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন