প্রাথমিক শিক্ষক বাছাইয়ের পরীক্ষার (টেট) তিন দিন আগে, বৃহস্পতিবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের কড়া মন্তব্যের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। শিক্ষক নিয়োগে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানান, গত তিন বছর যে নিয়োগ হয়নি, সেটা সরকারেরই ব্যর্থতা।
এদিন বেলা পাঁচটা পর্যন্ত অফলাইনে আবেদন করার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যত বেশি শিক্ষক পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন, তত বেশি ভাল শিক্ষক পাওয়া যাবে।
গত ২৩ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আগামী ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা হচ্ছে। তার আগে হাইকোর্টের নির্দেশে ২৯ জানুয়ারি অফলাইনে আবেদন করার সুযোগ পাবেন মামলাকারী টেট পরীক্ষার্থীরা।মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদকে প্রশ্ন করেছিলেন, ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির পর কেন এতদিন টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। যদিও প্রাইমারি শিক্ষা পর্ষদ সদুত্তর দিতে পারেনি। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আজ বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীদের আগামীকাল বেলা পাঁচটা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে, যাতে তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের মে মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট বা টেট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করে। এর পরে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। কয়েক লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই পরীক্ষা গত তিন বছরে নিয়ে উঠতে পারেনি পর্ষদ। এরপর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে রাজ্য টেটের জন্য আরও একবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তার ভিত্তিতেই আগামী ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা হতে চলেছে। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকজন টেট পরীক্ষার্থী আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যাঁরা ২০১৭ সালের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাদেরও সুযোগ দিতে হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন