এ বার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়েও 'তোলাবাজ ভাইপোর' বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে দু-জন 'চাকরির কন্ট্রাক্টর'-এর উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, "ওই দু-জন কলকাতায় বস্তা পৌঁছে দিয়েছে। আর কলকাতা থেকে তোলাবাজ ভাইপোর কোম্পানি এখানে নিয়োগ করে পাঠিয়েছে।"বিজেপির বিভিন্ন নেতানেত্রী ইতিমধ্যেই ভাইপো হিসাবে সরাসরি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম সামনে এনেছেন।
নন্দীগ্রামের পর পুরুলিয়ার কাশীপুরেও শুভেন্দুর সভায় তাল কাটল। সভাস্থলে ঢুকে পড়ল একটি গাড়ি। আর তা ঘিরেই উত্তেজনা ছড়াল। সভায় দেখা দিল বিশৃঙ্খলা। এঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখনও সভায় বক্তব্য রাখা শুরু করেননি শুভেন্দু। জেলা নেতৃত্বরা বক্তব্য রাখছেন। তবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু। এমন সময়ই সভাস্থলে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। আর তাতেই গন্ডগোল ছড়ায় সভাস্থলে।
উত্তেজনা দেখা দেয়। সভায় উপস্থিত জনতা গাড়িটিতে ভাঙচুর চালান বলে জানা গিয়েছে। তারপর গাড়িটি কোনওভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। এদিকে গাড়িটি কার, কীভাবে সভাস্থলে ঢুকল সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। শুভেন্দু বলেন, "আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে এসেছি। পুলিশের অনুমতি নিয়ে এই সভা। কিন্তু স্থানীয় পুলিশকে দেখা যাচ্ছে না। পুলিশ নেই কেন?" আরও বলেন, "এই মিটিংগুলো দেখে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই গাড়ি ঢুকিয়ে সভা ভন্ডুলের চেষ্টা করছে।"
পুরুলিয়ায় জনসভায় ফের তৃণমূলকে আরও একবার আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা টেট কেলেঙ্কারির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বললেন, প্রাথমিকে নিয়োগে টাকা আমি তুলিনি, টাকা যেত কলকাতায়। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রাথমিকে নিয়োগে তোলাবাজির অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এদিন নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে শুভেন্দু বলেন, "আগে বামফ্রন্টের আমলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তৈরি হয়েছিল। সেই সংসদের মাধ্যমে জেলার ছেলেরা নিজ জেলায় চাকরি পেতেন। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় এসে সেই কাউন্সিলের বিলোপ ঘটিয়েছে। তবে ব্রাত্যবসু যতদিন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ততদিন কাউন্সিল ছিল। এরপর ২০১৩ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী হয়ে সেই কাউন্সিলগুলির বিলোপ ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। তাই পুরুলিয়া জেলার চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন না। সব বাইরের জেলার লোকেরা এসে শিক্ষকতা করছেন মেদিনীপুরের ছেলেরা এখানে এসে চাকরি করছেন।'
এর পাশাপাশি তিনি দাবি করেন,"পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে পতি বলে একজন লোক আছে। আমি তাঁর নাম বলছি না, সেক্ষেত্রে মানহানির মামলা হতে পারে। তিনি মাল তোলেন। চাকরি পিছু ১০ – ১২ লক্ষ।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন