নন্দীগ্রামে মমতা। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর এই প্রথম তাঁর কেন্দ্রে তৃণমূল নেত্রী। নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, নন্দীগ্রামের সঙ্গে তাঁর আত্মার টান। তাই নিজের উত্থানস্থল থেকেই একুশের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে চান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আচ্ছা, আমি-ই যদি নন্দীগ্রামে দাঁড়াই কেমন হয়? এটা আমার আবেগের জায়গা। ভবানীপুরকেও আমি নেগলেক্ট করছি না। ওটাও আমার আবেগের জায়গা। ওখানেও ভালো প্রার্থী দেব। তবে সুব্রত বক্সীকে বলব, নন্দীগ্রামে আমার নামটা চূড়ান্ত করে দিতে।" শেষে অবশ্য তিনি এও বলেন যে, "ভবানীপুরের মানুষকেও আমি কষ্ট দেব না। ম্যানেজ করতে পারলে নন্দীগ্রাম ও ভবানীপুর, দুই জায়গা থেকেই আমি দাঁড়াব। নন্দীগ্রামে আমি দাঁড়াব-ই।"
রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারণা, একুশের আগে মমতার এই ঘোষণা মাস্টারস্ট্রোক হতে পারে। কারণ, তিনি নিজে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার অর্থ, শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানানো। এবং নিজের জেলাতেই শুভেন্দুকে কোণঠাসা করার চেষ্টা।
এই প্রাসঙ্গে বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা সিপিআই(এম) বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলছেন, 'ভবানীপুরে জিতবেন না বুঝতে পেরেছেন। তাই পালিয়ে গেলেন মমতা। তিনি আরও যোগ করেন, ১০ বছর ভবানীপুরের বিধায়ক থাকার পর তিনি (মমতা) কেন চলে যেতে চাইছেন? জানতেন জিতবেন না, তাই জমি আন্দোলনের কথা বলে নন্দীগ্রামে গিয়ে জিততে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই ইস্যুতে বলেন, '২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ২৯৪টা কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী। আগে যদি জানতাম এদের প্রার্থী করতাম না। একমাস আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২৯৪টা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আমিই।' এরপরই কটাক্ষ ছুঁড়ে শমীকবাবু বলেন, 'এখন উনি ঘোষণা করলেন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। উনি আর কত জায়গায় দাঁড়াবেন? আসলে নীচের তলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা সরে যাচ্ছেন। তাদের আটকাতে এসব মরছেন।'
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন