আগামী ১২ তারিখ রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং আইসিএসই ও সিবিএসই স্কুলগুলির দরজা খুলে যাচ্ছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য। স্কুল খোলার দু-দিন আগে স্কুলগুলির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। এক দিকে যেমন বিভিন্ন স্কুলে জীবাণুনাশের কাজ চলছে, অন্য দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে অনলাইন বা সামনাসামনি বৈঠকে শেষ মুহূর্তের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। কোনও স্কুল অভিভাবক ও পড়ুয়াদের জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ক্যান্টিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে যে, কেরলের মলপ্পুরমের দু-টি স্কুলে দশম শ্রেণির ১৯২ জন পড়ুয়ার করোনা সংক্রমণ হয়েছে। ভারতের করোনা মোকাবিলায় মডেল রাজ্য হিসাবে পরিচিত ছিল এই রাজ্য। কিন্তু ধীরেধীরে সেই কেরালাও করোনার সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। তা থেকে দক্ষিণের এই রাজ্য যে এখনও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি, তা কেরালায় সম্প্রতি স্কুল খোলার পর থেকে আরও স্পষ্ট হয়েছে। দিন কয়েক আগেই কেরালায় দশম-দ্বাদশের পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল। আর তারপরই পাশাপাশি দু-টি স্কুলের দশম শ্রেণির ১৯২ জন ছাত্র-ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৭২ জন স্কুল কর্মীও। এই খবর পাওয়া গিয়েছে কেরালার মালাপ্পুরম জেলা থেকে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে মালাপ্পুরমের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, 'একজন ছাত্রের শরীরে করোনার খোঁজ মিলতেই কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কারণেই বাকি পড়ুয়া ও কর্মীদের টেস্ট করানো হয়েছিল। এর পরে দুটি স্কুলের পড়ুয়াদের সকলেরই করোনা টেস্ট করা হয়েছিল। কীভাবে এতজনের শরীরে করোনা ছড়িয়ে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
যদিও বেশির ভাগ স্কুল কর্তৃপক্ষই পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা মেনে স্কুলে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন