টেট পরীক্ষা নিয়ে এদিন গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল আদালত। এদিনের এই রায়ের পরে কিছুটা স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। কার্যত রাজ্য সরকারের যুক্তি মেনে নিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ধাক্কা খেলেন মামলাকারীরা। যে সমস্ত মামলাকারী চাকরি প্রার্থী সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে প্রাইমারি টেট পরীক্ষা দিয়েছিল, তাদের পরীক্ষা এদিনের পরে বাতিল হয়ে গেল।
২০১৭ সালের মে মাসে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রাইমারি টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু সেই পরীক্ষা হয়নি। ওই বছর অক্টোবরে ফের টেট-এর বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য সরকার। এরপর গত বছর ২৩ ডিসেম্বর আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য সরকার জানায়, আগামী ৩১ জানুয়ারি প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হবে। যদিও নতুন করে আর আবেদন করতে পারবে না চাকরি প্রার্থীরা।
সেই বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে বেশ কিছু পরীক্ষার্থী কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেন। আবেদনে তাঁরা বলেন, NCTE-র নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতি বছর টেট পরীক্ষা নিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কিন্তু NCTE-র সেই নির্দেশ মানা হয়নি এই রাজ্যে। আগেই তাঁদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরকেও এবারের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। এরপরই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্দাজ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন, শুধুমাত্র মামলাকারী চাকরি-প্রার্থীদের আবেদনপত্র অফলাইনে জমা নিয়ে পরীক্ষাতে বসতে দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ পিটিশনার দের পরীক্ষার ব্যবস্থা করলেও ডিভিশন বেঞ্চে যায় আদালত। আদালতের এদিনের রায়ের পরে সেই জট কাটল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন