মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধের বিরোধিতা করেছে। যে কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের ডাকা বনধকে কর্মনাশা আখ্যা দিয়ে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এবারও সেই একি পথে হাঁটল নবান্ন। বামেদের বনধ ঘোষণার পরই সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন।
প্রসঙ্গত, বাম যুবদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিল বাম নেতৃত্ব। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলায় হরতালের ডাক দিয়েছে তারা। তাদের দাবি, ছাত্রদের উপর যেভাবে নির্বিচারে আঘাত হানা হল তা প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের উপরই আঘাত। তাই গোটা রাজ্যের মানুষকে এই হরতালে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান শুরুর আগে আচমকাই নবান্নের সামনে অশান্তি। বেলা পৌনে ১১টার সময় ১০-১২ জন বাম যুব কর্মী নবান্নের সামনে চলে আসেন। তাঁরা স্লোগান দিতে দিতে নবান্নের উত্তর দিকের গেট দিয়ে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। বাম যুব কর্মীদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। কর্মসংস্থান, রাজ্যে নতুন শিল্প, সহ একাধিক দাবিতে আজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ১০টি বাম ছাত্র যুব সংগঠন। হাওড়া ও শিয়ালদা স্টেশন থেকে আজ দুটি মিছিল আসে কলেজ স্ট্রিটে। তারপর দুপুর ১টায় সেখান থেকেই শুরু হয় নবান্ন অভিযান।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন