রাজ্যে নিয়োগ নিয়ে বার বার অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন চাকরি প্রার্থীরা। অনিয়মের অভিযোগে আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। এখনও আইনি জালে জড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ। আর এবার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় কর্মীসভা থেকে সদ্য দলত্যাগীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি।
রাজীব বলেন,'আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তিনি নাম না করে বলেছেন, বন সহায়কের চাকরিতে কারসাজি হয়েছে। উনি তদন্ত করবেন। উনি নাম নেননি, আমি নাম নিয়ে বলছি, জেনে রাখুন এই বন সহায়কের নিয়োগ নিরপেক্ষভাবে বোর্ডের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। গত বছর ৮ অক্টোবর সকাল ১০টার সময় আপনাকে মেসেজ বলেছিলাম বীরভূমের বড় নেতা আমায় বলছে, বন সহায়কের সব পদ তাঁকে দিতে হবে। আপনি আমায় পাল্টা ফোন করে বলেছিলেন, সব জেলায় জেলায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কিছু কিছু করে কোটা তুমি দিয়ে দাও। এতদিন মুখ খুলিনি। আপনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলতে বাধ্য হলাম। ৮ অক্টোবর সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে আপনার সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল।'
এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া মন্ত্রকে বন-সহায়কের পদে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে সায় দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভা। দু-দিন আগেই যে আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তা এবার কার্যত বাস্তবায়নের পথে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্যরা আজ সম্মিলিতভাবে সম্মত হয়েছেন এবং তদন্তে অনুমোদন দিয়েছেন।
আজকের সিদ্ধান্তের দ্বারা তৃণমূল সরকার একটা ইঙ্গিত পষ্টাপষ্টিভাবে বিরোধী শিবিরে পৌঁছে দিতে চাইল। তা হল- রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যতই হাটে ‘হাঁড়ি ভাঙার’ হুঁশিয়ারি দিয়ে থাকুন না কেন, তা নিয়ে মোটেও ভাবিত নয় সরকারের শীর্ষতম নেতৃত্ব। সূত্র মারফত খবর, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনেক মন্ত্রীকে বারবার একটা কথা বলতে শোনা যায়। মন্ত্রীরা প্রত্যেকে এই অভিযোগ করেন যে, বন-সহায়ক দফতরে এমন মানুষ নিয়োগ করা হয়েছে যাঁদের বন-জঞ্জল সম্পর্কে ধারণা কম। যে কারণে বন-সহায়ক নিয়োগ, তার বাস্তবায়ন হয়নি। যে কারণে সবাই বলেছেন, তদন্ত হওয়া উচিত।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন