করোনার কারণে প্রায় ১০ মাস বন্ধ আছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হবে স্কুল। তবে প্রত্যেককে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাইজার। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে কোনও স্কুলে পরীক্ষাগারের দরজা খুলে ঝাড়পোঁছ করা শুরু হয়েছে। কোথাও আবার ক্লাসঘরের ডেস্ক এবং বেঞ্চে জীবাণুনাশক ছড়ানোর কাজ চলছে
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ১২ থেকে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে। শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতিও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে ধুলো-ময়লা তো জমেছেই। সঙ্গে মাথায় রাখতে হচ্ছে কোভিড বিধিও। তাই ঘোষণা মাত্রই তড়িঘড়ি স্কুল স্যানিটাইজেশনের কাজ শুরু করেদিল স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি।
পড়ুয়ার জন্য নির্দেশিকাঃ-
১। ঢোকার সময় প্রত্যেক পড়ুয়াকে মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব।
২। স্কুলে মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না অভিভাবকরা।
৩। ঢোকার মুখে জীবাণুনাশক দিয়ে হাত স্যানিটাইজ করতে হবে পড়ুয়াদের।
৪। করোনা আবহে স্কুলে কোনও প্রার্থনা হবে না, প্রত্যেককে পরে থাকতে হবে মাস্ক।
৫। কোনও পড়ুয়া অন্য কোনও পড়ুয়ার বই ছোঁবেন না।
স্কুলের জন্য নির্দেশিকা
১। নিয়মিত স্কুল স্যানিটাইজ করতে হবে।
২। স্কুলকে অভিভাবকদের ফোন নম্বর যুক্ত একটি নোটবুক রাখতে হবে।
৩। ক্লাস ডায়েরির ব্যবস্থা করতে হবে, পড়ুয়াদের সামাজিক দূরত্ব মেনে বসাতে হবে।
৪। কনটেইনমেন্টে জোন হলে সেই অঞ্চলের পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে না আসে সে দিকে নজর রাখতে হবে।
৫। স্কুলের বাইরে করোনাবিধি সংক্রান্ত তালিকা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
৬। স্কুলের তরফে প্রতিদিন ১০ মিনিট করে করোনাবিধি সংক্রান্ত বক্তব্য রাখতে হবে।
স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা
১। স্কুলের তরফে প্রতিদিন শৌচাগার পরিষ্কার রাখতে হবে।
২। স্কুলে ঢোকার সময় থার্মাল চেক করতে হবে পড়ুয়াদের। কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হলে তাঁর সঙ্গে চিকিৎসকের যোগাযোগ করিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে পড়ুয়াকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে হবে।
৩। প্রত্যেক ক্লাসে একজন হাইজিন মনিটর রাখারও প্রস্তাব দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন