বন সহায়ক পদে নিয়োগ মামলায় চরম অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। দলীয় কর্মীসভা থেকে সদ্য দলত্যাগীদের কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি।
বন সহায়ক পদে চাকরি নিয়ে কারচুপির অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সম্প্রতি হুগলীর জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর জবাব দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন বনমন্ত্রী যখন এভাবে খোলা মঞ্চে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বেআব্রু করে দিয়েছেন, তখন অনিয়ম নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। আর এর পরেই চাকরি প্রার্থীরা স্যাটে মামলা দায়ের করেন। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কি পদ্ধতিতে নিয়োগ করা হয়েছে, মেধাতালিকার কি ব্যবস্থা ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের অগস্ট মাসে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদের বন-সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। যেখানে শূন্যপদ ছিল প্রায় দু-হাজার। মাত্র দু-হাজার পদের জন্য দু-লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু প্যানেল প্রকাশ হয়নি। গত কয়েকদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৌখিক তরজার ফলেই জানা যায়, বন-সহায়ক পদে নিয়োগ হয়ে গিয়েছে।
অপরদিকে, ২৯ জানুয়ারি প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটরের অফিস থেকে মুখ্য বনপাল সব ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে কেউ যদি জানতে চায়, তা হলে কী কী তথ্য দেওয়া যাবে না-
১। বোর্ড মেম্বারদের ব্যক্তিগত তথ্য তথা নাম ও যোগ্যতা জানান যাবে না। এখানে বোর্ড বলতে সম্ভবত নিয়োগ বোর্ডের কথাই বলা হয়েছে।
২। ফুল মার্ক্সশিট ও সম্পূর্ণ মেধা তালিকা দেওয়া যাবে না।
৩। অন্য প্রার্থীদেরও ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া যাবে না।
এক সূত্রের দাবি, বন সহায়ক নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যে আরটিআই মারফত প্রশ্ন জমা পড়তে শুরু করেছে। সেই কারণে এই পদক্ষেপ। সরকার এমন বিতর্কিত চিঠি ফাঁস হতেই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে সত্যি অনিয়ম হয়ে ছিল! নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকলে এত গোপনীয়তার কি প্রয়োজন!
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন