প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না রাজ্য সরকারের। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। মার্চের শুরুর দিকে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্য সরকার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়ে করতে পারবে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৬,৫০০ শূন্যপদের মধ্যে প্রথম ধাপে ফল প্রকাশ করা হয় ১৫,২৮৪ জনের। সেই মতো শুরু হয় নিয়োগ। বেশ কয়েকজনের হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে স্কুলের চাকরিতেও যোগ দেন। কিন্তু নিয়োগে অস্বচ্ছতা রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করে। তার জেরে গোটা প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। এর পরে ডিভিশন বেঞ্চ সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পরেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন একদল পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার্থীদের একাংশের করা মামলা খারিজ করে দিল সর্বোচ্চ আদালত। বহাল রাখল হাইকোর্টের রায়। শর্তসাপেক্ষে নিয়োগে সম্মতি দিল সু্প্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্বে থাকা মানিক ভট্টাচার্য জানান, প্রাথমিকে ধাপে ধাপে নিয়োগ করা হবে। মানিক ভট্টাচার্য জানান, 'সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিকের মামলা খারিজ করে দিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মেনে নিয়াগের প্রক্রিয়া চালাতে। এর চাইতে বড় জয় আর হয় না। সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা, এতে রাজ্য সরকারের জয়। বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার সিলমোহর দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অনেকেই প্রতি মুহূর্তে যুবক-যুবতীদের চাকরিতে বাধার সৃষ্টি করতে চাইছে, নানাভাবে বিভ্রান্ত করছে। আমরা বলছি, পর পর নিয়ােগ প্রক্রিয়া চলবে। উত্তেজিত হবেন না, প্ররোচনায় পা দেবেন না।'

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন