চাকরি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে কত প্রজন্মের সংরক্ষণ প্রথা চলতে থাকবে, শীর্ষ আদালতে শুক্রবার মারাঠা কোটা মামলার শুনানির সময় জানতে চেয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে ৫০ শতাংশ সীমা অপসারণ করা হলে "ফলস্বরূপ বৈষম্য" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষে মারাঠা কোটা নিয়ে তীব্রভাবে সওয়াল করছিলেন।
চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মারাঠাদের কোটা মঞ্জুর করার মহারাষ্ট্র আইনের পক্ষে যুক্তি রেখে আইনজীবী রোহাতগি মণ্ডলের রায়ের বিভিন্ন দিক আদালতের সামনে উল্লেখ করেন। ইন্দ্র সাওহেনে মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে দেশের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দশ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্তও আদালতে তুলে ধরেন রোহতগি।
চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণের ব্যবস্থা সম্পর্কিত সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে রোহতগিকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের প্রশ্ন, "যদি ৫০ শতাংশ বা কোনও সীমাই না থাকে, যেমনটা আপনি পরামর্শ দিচ্ছেন, তখন সমতার ধারণাটা ঠিক কী? আমাদের শেষ পর্যন্ত এটির মোকাবিলা করতে হবে। সেই সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়াটাই বা কী হবে? আর কত প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ চলবে?"
বেঞ্চ এদিন বলে, "স্বাধীনতার ৭০ বছর পেরিয়ে গেছে এবং কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চালাচ্ছে। তবে কী আমরা মেনে নিতে পারি যে কোনও উন্নয়ন হয়নি, কোনও পিছিয়ে পড়া জাতিই এগিয়ে যায়নি।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন