নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা ছিল, শুক্রবার থেকে রাজ্যে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালু হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প 'দুয়ারে রেশন'। রাজ্যের মোট ২৩ জেলার ২৮ টি রেশন দোকান বেছে সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। এমনই সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য দফতর।
ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ির সাতবাঁকি গ্রাম। সবে সকালের ব্যস্ততা শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে বস্তা বস্তা খাদ্যসামগ্রী, ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন রেশন দোকানের কর্মী, আধিকারিকরা। ৩৫ টি পরিবারের হাতে এভাবেই তুলে দেওয়া হল খাদ্যসামগ্রী। আর এই ভাবে বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলক-ভাবে বঙ্গে চালু হয়ে গেল দুয়ারে রেশন।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলার ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দিয়ে 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্পে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী। তবে তা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, গ্রামে গ্রামে 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্প পৌঁছে দিতে ভিলেজ রিসোর্স পারসনদের যুক্ত করা হবে। অথচ প্রশাসন কিছু জানেই না।
ওই ভুয়ো বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০ জনের একটি দল তৈরি করতে হবে। ভিলেজ রিসোর্স পারসনরা থাকবেন সেই দলে। তাঁরাই দুয়ারে রেশন প্রকল্পের যাবতীয় কাজ করবেন। নাম নথিভুক্ত করা থেকে নির্দিষ্ট সময় রেশন পৌঁছে দেওয়া সব কাজই করবে তাঁরা। এ জন্য দিনপিছু ৩৮৬ টাকা পাবেন ভিলেজ রিসোর্স পারসনরা। তবে এর পাশাপাশি ভিলেজ রিসোর্স পারসনদের জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করতে হবে তাঁদের। কিন্তু এই মর্মে রাজ্য এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি বলেই খবর।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন