প্রায় এক বছর হতে চলল। একবার আসার পর দ্বিতীয়বার 'মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক' এসে পৌঁছল না স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। করোনার কারণে বছরখানেকের ওপর রাজ্যের সরকারি বিদ্যালয়গুলির শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বন্ধ। একেবারেই হচ্ছে না পরীক্ষা নেওয়া।
বিক্ষিপ্তভাবে অনলাইনের মারফত বা ফোনে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা বা পরীক্ষার ব্যবস্থা করছেন কিছু স্কুলের শিক্ষক। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সার্বিকভাবে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিশু শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম বলে মনে করছেন শিক্ষকদের অনেকেই। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ফের এরকম কোনও টাস্ক পাঠালে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেত। এবং বাড়িতে তারা কতটা পড়াশোনা করছে তা সামান্য হলেও মূল্যায়ন করা যেত বলে শিক্ষকদের একাংশের মত।
উল্লেখ্য, গত বছর মে মাস নাগাদ কীরকম পড়াশোনা হয়েছে তা জানতে প্রতিটি বিষয়ের ওপর প্রশ্নপত্র তৈরি করে তা পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের প্রতিটা স্কুলে। সেগুলি মিড-ডে-মিল নিতে আসা অভিভাবকদের হাত দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে তা পুনরায় স্কুলের কাছে জমা দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। তাতে যদিও কোনও নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। তবুও বাড়িতে কতটা পড়াশোনা করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা তার একটা আন্দাজ পেয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষকরা। তবে ওই প্রথমবার এবং এখনও পর্যন্ত শেষবারের মত মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পেয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও এরকম আর কোন মডেল প্রশ্ন এখনও পর্যন্ত স্কুলগুলির কাছে এসে পৌঁছয়নি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন