ফের থমকে গিয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। আদালতে দায়ের হয়েছে মামলা। এই নিয়োগ আটকে যাওয়ার প্রসঙ্গে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এত ছাত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে কারা খেলা করছে? এটা ঠিক নয়। আজ তিন -চার বছর ধরে দেখছি ছেলেমেয়েগুলো অ্যাপয়ন্টমেন্ট পাচ্ছে না। কারা কোর্ট কেস করছে? এরা কারা? এরা সমাজের বন্ধু? ছাত্রছাত্রীদের বন্ধু? চাকরি পেলে আমি কখনও দেখি না এ পাচ্ছে, কি বি পাচ্ছে, কি সি পাচ্ছে, কি ডি পাচ্ছে। চাকরি পাবে ৩৫ হাজার ছেলে মেয়ে। তাদের জন্য সব প্রায় রেডি করা হল। হঠাৎ করে একটা কোর্ট কেস করে দিল।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও নাম নেই মেধা তালিকায়। এমনই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ। আর সেই মামলার জেরেই ফের আটকে গেল উচ্চ প্রাথমিক বা আপারের নিয়োগের প্রক্রিয়া। ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়ে গেলেও ফের আইনি জটিলতায় আটকে গেল সেই প্রক্রিয়া। আজ, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার ফের হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগের কোনও কাজ হবে না শুক্রবার পর্যন্ত।
কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পুজোর মধ্যেই প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক মিলিয়ে সাড়ে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে। পরবর্তীতে ২১ জুন উচ্চ প্রাথমিকে ১৪,৩৩৯ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হয়। এরপরই ইন্টারভিউয়ের তালিকায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। মামলাকারীদের মূল অভিযোগ ছিল, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় মোট নম্বরের উল্লেখ নেই। তার ফলে বেশি নম্বর পাওয়া অনেক প্রার্থীর নামই তালিকায় নেই। অন্যদিকে কম নম্বর পাওয়া অনেকের নামই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই এসএসসি সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এসএসসি-র তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অবিলম্বে প্রকাশিত তালিকা বাতিল করে মোট নম্বর উল্লেখ করে স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশ করার আবেদনও করেছিলেন।

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন