অতিমারির জেরে বন্ধ রাজ্যের প্রায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। এখন অনলাইন ক্লাসই ভরসা পড়ুয়াদের। দীর্ঘদিন বদ্ধ থাকায় পড়ুয়াদের মনের উপর চাপ বাড়ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই কড়া নাড়ছে তৃতীয় ঢেউ।
শত হাতিয়ার, শত সাবধানতা সত্ত্বেও করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ধাক্কা এড়াতে পারবে না ভারত।
তিনি বলেন, তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাতে যাতে সর্বাধিক ক্ষতি এড়ানো যায়, সেজন্য টিকাকরণের হার বৃদ্ধি করাই একমাত্র উপায়। যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন, এই বিপুল জনসংখ্যার দেশে সকল মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বিষয়। এমনকি করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস প্রজাতী নিয়েও আতঙ্ক ব্যক্ত করেছেন এইমস প্রধান ডক্টর রণদীপ গুলেরিয়া।
তাঁর আরও বলেন, "লকডাউনের পর এই যে আনলক পর্ব, তাতেই কোভিড বিধি একধাক্কায় ভেঙে ফেলার আশঙ্কা থাকে। আমরা প্রথমবারের থেকে কিছুই যে শিখিনি, দ্বিতীয় ধাক্কাতেই তা বোঝা গিয়েছে। ফলে আশা করা যায় না যে করোনার তৃতীয় ধাক্কা এড়াতে সকলেই খুব সাবধানতা অবলম্বন করবেন। তবে অবশ্যই যথাযথ বিধি মেনে ভিড়, জমায়েত এড়িয়ে চলতে পারলে অনেকটাই সহজ হবে এর মোকাবিলা করা।"
এই পরিস্থিতিতে কবে খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি? এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল। উত্তরে তিনি সাফ জানান, এখনই স্কুল খোলার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ডঃ পাল জানান, স্কুল খোলার আগে অনেক বিষয় মাথায় রাখা উচিত। শিক্ষকদের ও পড়ুয়াদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি দৈনিক অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, "এর আগে স্কুল খোলার পর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছিল। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের শিশুদের এবং শিক্ষকদের পুণরায় বিপদে ফেলতে পারি না।" এ বিষয়ে সেরোপ্রিভেলেন্স তথ্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে বলে মত ভিকে পালের।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন