নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। এবার থেকে 'সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচারদের' সমস্যা মিটতে চলেছে। এখন থেকে তাঁরাও বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আজ স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সিঙ্গল সাবজেক্ট টিচার অর্থাৎ, যে সব উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে একটি বিষয়ের জন্য একজনই মাত্র শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা এতদিন পর্যন্ত বদলির কোনও সুযোগ পেতেন না। অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, শিক্ষকদের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব অনেক।
রাজ্যে শিক্ষক বদলিতে অনেক সময় বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এনওসি না পেয়ে বছরের পর বছর বাড়ি থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এদিনের নির্দেশিকায় তা পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, "আবেদনের এক মাসের মধ্যে সব খতিয়ে দেখে ট্রান্সফার অর্ডার ইস্যু হবে। প্রধান শিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ কাউকে জোর করে আটকে রাখতে পারবেন না।"
তবে শিক্ষামন্ত্রীর মৌখিক নির্দেশের পরও তা কার্যকর হচ্ছিল না। এদিনের নির্দেশিকা রাজ্যের সমস্ত জেলা স্কুল পরিদর্শককে (ডিআই) পাঠানো হয়েছে। ডিআইরা প্রধানশিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেবেন। উৎসশ্রী পোর্টালে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি বদলির আবেদন জানাচ্ছেন শিক্ষাকর্মীরাও।
মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে আবেদন করলে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও অন্যান্য কাগজ লাগবে। ৪০ শতাংশের বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকলে রিনিউ করা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করতে হবে। জটিল অসুখ বা কোনও শিক্ষিকার বিবাহবিচ্ছেদ বা স্বামীর মৃত্যুও বদলির আবেদনে গ্রাহ্য হবে। একই স্কুলে পাঁচ বছর কর্মরত যে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা আবেদনের যোগ্য। পাঁচ বছরের মধ্যে ট্রান্সফার নিলে আবেদন করা যাবে না। সাত বছরের মধ্যে বদলির আদেশ প্রত্যাখ্যান করলেও আবেদন করা যাবে না।
কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা সাসপেন্ড থাকলে আবেদন করতে পারবেন না। বিভাগীয় তদন্ত বা বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে কোর্ট কেস চললেও আবেদন গ্রাহ্য হবে না। শিক্ষকদের একটি অংশের অভিযোগ, সমস্ত শর্ত পুরণ করার পরও বদলির আবেদন নাকচ করা হচ্ছে। স্কুলশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ থাকলে তা মেল করে জানানো যাবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন