মাদক সেবন মামলায় জামিন হল না শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানের। এ দিন মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে শাহরুখ পুত্রের জামিনের আবেদন জানান তাঁর আইনজীবী। কিন্তু দীর্ঘ শুনানির পর আদালত জানিয়ে দেয়, যে ধরনের মাদক এনসিবি-র হাতে এসেছে সেই সম্পর্কে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। যে কারণে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বলি বাদশার ছেলে-সহ তাঁর দুই বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন দধিচাকে এনসিবি রিমান্ডে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের প্রমোদ তরণীতে বড়সড় অভিযান চালায় নার্কোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো এনসিবি। সেখান থেকে প্রচুর মাদক উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন ভিভিআইপি ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।
সেই তালিকাতে ছিল বলিউডের কিং খান শাহরুখের বড় ছেলে আরিয়ানের নামও। আটকের পর রবিবার সকাল থেকে তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সূত্রের খবর, আরিয়ানের জবাবে সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর আরিয়ানকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। আরিয়ান খানের পাশাপাশি মুনমুন ধামেচা ও আরবাজ মার্চেন্টকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার গভীর রাতে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি-র আধিকারিকরা যাত্রী সেজে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ক্রুজে চড়েন। মুম্বই থেকে গোয়ার উদ্দেশে রওনা হয় ক্রুজটি। ভিতরেই চলছিল পার্টি। পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক সেবন করা হবে, সেই খবর নাকি NCB আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই ছিল। সেই মতো পার্টিতে নজর রাখছিলেন আধিকারিকরা।
শোনা গিয়েছে, হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় আরিয়ান ও তাঁর সঙ্গীদের। প্রচুর নিষিদ্ধ মাদক বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। প্রথমে ১০ জনকে আটক করার খবর মিলেছিল। পরে শোনা যায়, আরিয়ান-সহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। যার মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন