গরুপাচার-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। একাধিকবার সিবিআই তলব করলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বগটুই-কাণ্ড কি তাঁকে আরও চাপে ফেলে দিয়েছে ? প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কারণ, বীরভূমের ওই গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও আটজনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, বগটুইয়ের ঘটনায় বারবার সামনে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। যে বাড়িগুলি পুড়েছে, সেই বাড়ির বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারাও নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করছেন। তাঁদের অভিযোগের তিরও স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনের দিকে ছিল। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার আগেই আনারুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারও মুখে অনুব্রত মণ্ডলের নামে কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মন্তব্য অনুব্রতর বিরুদ্ধে যেতে পারে। তাঁকে এই ঘটনায় সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়তে হতে পারে। এমন কিছু হলে তা শাসকদল তৃণমূলের কাছেও অস্বস্তি বাড়বে। যদিও শুক্রবার থেকেই অনুব্রতর সঙ্গে তৃণমূলের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, গতকালই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অনুব্রত সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। অনুব্রতকে 'বড় নেতা' বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বগটুই কাণ্ড নিয়ে সিবিআইয়ের জালে অনুব্রতকে পড়তে হবে কি না, তা নিয়ে তৃণমূলের আরও কারও বক্তব্য স্বাভাবিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন