নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্যের। আরও চার প্রার্থীর চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্যানেলে নাম না-থাকা সত্ত্বেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন আজ আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছে, তাঁদের কারও নাম মেধাতালিকায় ছিল না এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁদের সুপারিশপত্র দেয়নি।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন সারমিন নাহার-সহ আরও আট চাকরিপ্রার্থী। পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে তাঁদের নাম মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে থাকলেও তাঁরা চাকরি পাননি। কিন্তু উপরিউক্ত ওই চার প্রার্থী শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। বাধ্য হয়ে ওই আটজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। চার প্রার্থীর চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সারমিন নাহার-সহ আটজনকে চাকরিতে নিযুক্ত করা যায় কি না, তাঁদের বক্তব্য শুনে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্যও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রতিদিন স্বীকার করছে, যাঁদের কোথাও নাম নেই এ রকম শত শত প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু আদালতে তাঁরা দায়মুক্ত হতে চাইছে। কী পরিমাণ দুর্নীতির আখড়া এই স্কুল সার্ভিস কমিশন, তা সাধারণ মানুষ জানতেও পারে না। যোগ্যদের বঞ্চিত করে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন