কেষ্টর মতো এত সাহায্যকারী ছেলে কম দেখেছি: মুখ্যমন্ত্রী

 

অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরই তাঁর সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। যদিও এখনও যে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই রয়েছেন, এ দিন ফের বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন গান্ধি মূর্তির পাশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে তিনি বলেন, 'কেষ্টর মতো এত সাহায্যকারী ছেলে আমি খুব কম দেখেছি।'

শুধু অনুব্রত মণ্ডল নয়, এ দিন দলের ছাত্র সংগঠনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও শোনা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পার্থ, কেষ্ট, ববি, অভিষেক, মমতা সবাই চোর, আর আপনারা সাধু এ দিয়ে জীবন চলবে না।'

শুধু তাই নয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী কি না, তা আইন বিচার করবে বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় মমতাকে৷ যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর অবস্থান বদলেছে কি না, এ দিনের বক্তব্যে অন্তত তা স্পষ্ট হয়নি। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "আমাদের আমলে কত ছেলে-মেয়ে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছে। আর সিপিএম, কত ছেলে-মেয়ে তোমাদের আমলে চাকরি পেয়েছে? লিস্ট কোথায়? পয়সা নিয়েছ আর চাকরি দিয়েছ। ওই গদ্দার অধিকারীরাই আমাকে রোজ বলত। তাই সিস্টেমটা ওরাই ভালো জানে। আজকে তৃণমূলকে বলছে চোর। আমি যদি আজ রাজনীতি না করতাম। আর এই চেয়ারে না থাকতাম। তাহলে বোনেদের বলতাম যাঁরা মিথ্যে রটাচ্ছে, তাঁদের জিভ টেনে খুলে দিতে। একটা দলের নামে বদনাম করা হচ্ছে। এখনও বিচার হয়নি। প্রমাণ হয়নি।" 

এর পরেই তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল সরকারের এগারো বছরের শাসনে এ রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়,১৪ টি মেডিক্যাল কলেজ, ৫১ নতুন কলেজ, ১৭৬ পলিটেকনিক কলেজ, ৭ হাজার নতুন স্কুল হয়েছে। ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৭০ জনকে চাকরি দিয়েছে সরকার। এখনও খালি রয়েছে ৮৯ হাজার ৩৫টি পদ। বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সবকিছুর টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।"