'যাতাভাবে টাকা নিচ্ছেন। আবার টাকা নিয়ে করবে। আবার কেস হবে'। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে এমন বিতর্কিত মেসেজ পার্থের ফোনে! এর পাশাপাশি, দু'জনের কথোপকথনের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে হোয়াটস অ্যাপে এর সঙ্গে অর্পিতার বিস্ফোরক বয়ান। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার চার্জশিট দিল ইডি।
এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতারির পর, এখন সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মাঝে বেশ কিছু দিন প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পার্থকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। শুনানিতে ধৃতের আইনজীবী বলেছিলেন, '২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। কিন্তু এতদিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি! এখন আচমকা সিবিআই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে চাইছে। এটা চক্রান্ত'।
ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ, যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়, সেদিন তাঁর নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি। তৎকালীন শিল্পমন্ত্রীর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। ফরেন্সিক পরীক্ষার পর ওই মোবাইল থেকে একটি মেসেজ পাওয়া গিয়েছেন। কীসের মেসেজ? কোনও এক ব্যক্তি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করেছেন, 'মানিক ভট্টাচার্য যাতা ভাবে টাকা নিচ্ছে। কোভিডের সময়ে কলেজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদের কাছ থেকে প্রাইভেটে বেড প্রতি ৫০০ টাকা করে নিচ্ছে। নদীয়াতে প্রাইমারি টেট ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানিক ভট্টাচার্য চেয়ারম্য়ানকে মার্কস ছাড়া ব্ল্যাঙ্ক ডকুমেন্ট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছ। আবার টাকা নিয়ে করবে। আবার কেস হবে'। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া দূর, উল্টে ওই মেসেজটি আবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তৎকালীন সভাপতিকেই ফরোয়ার্ড করেন পার্থ।
এদিকে পার্থের মোবাইলে পাওয়া অন্য একটি মেসেজ আবার মানিক ভট্টাচার্য লিখেছেন, '১০ মিনিট দিস। ইন্টারভিউ ও টেট নিয়ে আর্জেন্ট আলোচনার জন্য় কাল তোর বাড়িতে যাব'! প্রাক্তন মন্ত্রীর জবাব, 'Ok'। তখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর, মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন পার্থ? ইন্টারভিউয়ের পর ব্ল্যাঙ্ক ডকুমেন্ট পাঠানোর জন্যইবা কেন চাপ দিচ্ছিলেন? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন