এসএসসি বৈঠকের দিন ফের পিছিয়ে গেল। ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা খুঁজতে বৈঠক ডেকেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই ডাকা হয় বৈঠক। এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ ও নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ ভুয়ো শিক্ষকের প্রকৃত সংখ্যা কত? তা খুঁজতেই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠক হবে এসএসসি দফতরেই। বুধবার বিকেল ৫টায় হবে বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। বৈঠকের পর ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা নিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে সিবিআইয়ের পেশ করা ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান কপি উদ্ধার হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী হয়তো আদতে ১ বা ০ পেয়েছেন। ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা ওএমআর শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি শকড!' প্রতারণার মাধ্য়মে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের চরম হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সাফ বলেন,'এই সমস্ত বেআইনি প্রার্থীরা তাঁদের চাকরি হারাবেন। যদি তাঁরা নিজে থেকে পদত্যাগ করেন তো ভালো, আদালত তাহলে কোনও পদক্ষেপ করবে না। কিন্তু পদত্যাগ না করলে তাঁরা কেউ অন্য সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না।'
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন