সোমবার চাকরি, শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বৈধ। সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার এমন গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালার সাংবিধানিক বেঞ্চ ৩:২ অনুপাতে আজকের এই রায় দিয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ সাংবিধানিক বেঞ্চের ৫ বিচারপতি মধ্যে তিন বিচারপতি যথাক্রমে বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা ১০৩ তম সংবিধান সংশোধনীর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে চাকরি, শিক্ষা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সংসদে বিল পাশ করে তা আইনে পরিণত করেছিল কেন্দ্র। দেশের কোনও রাজনৈতিক দলই খোলাখুলি এর বিরোধিতা করেনি। কিন্তু ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিরোধিতা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা-সহ অনেকে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়। মোট ৪০টি পিটিশন দাখিল হয়েছিল। দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছিল, সংবিধানের ৪৬ নম্বর ধারায় শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়েছে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির কথা বলা হয়নি।
আদালতের কাছে দায়ের করা পিটিশনে এই সংরক্ষণ আইনের বৈধতা নিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। ৩ জন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। এতদিন এসসি, এসটি ও ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ ছিল। ২০১৯ সালে ১০৩ তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া নিয়ে সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলাটি যায়। সোমবার সেই মামলার সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে এখন থেকে আর্থিকভাবে অনগ্রসরদের সংরক্ষণে কোনও সমস্যা রইল না। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই সংরক্ষণের বিষয়টি কোনওভাবেই অবৈধ নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন