কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে চলতে থাকা জোড়া মামলার নিষ্পত্তির আগেই চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের কাজ ফেরাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। 'চাইলে চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জন শিক্ষক স্কুলে যেতে পারেন', আগের চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে জেলা বিদ্যালয় সংসদকে নতুন নির্দেশ প্রাথমিক পর্ষদের।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছিল ২৬৯ জন শিক্ষকের। গত ১৩ জুন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে রায় দিয়েছিলেন। পরে যে রায় বহাল রেখেছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। যার পরই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো শিক্ষকরা।
এই প্রসঙ্গে 'শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ'-র রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন,"হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে নিযুক্ত হয়েছেন ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাঁরা যেন চাকরি থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পদত্যাগ করেন। তার নজির তো দেখা গেল না বরং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের স্টে দেওয়া ২৬৮ জন অবৈধভাবে নিযুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিদ্যালয়ে যোগ দিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত অনৈতিক। এ জিনিস বিদ্যালয়ের শিক্ষা, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের মান মর্যাদাকে ধূলায় মিশিয়ে দেবে। শিক্ষা দপ্তর চাইছে দুর্নীতি চাপা পড়ুক। অবৈধভাবে নিয়োগ যেন বৈধতা পায়। এ জিনিস কোনভাবেই মানা যায় না। শিক্ষা দপ্তর যদি এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চলতে থাকে তাহলে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা কবে নিয়োগ পাবে? এতে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আরো তীব্র হবে।"
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন