ভারতের অপারেশন সিঁদুরে কি মৃত জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার? মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাহওয়ালপুরের একটি বড় জঙ্গি ডেরা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। ওই জঙ্গি শিবিরটি মাসুদ আজহারের জঙ্গি সংগঠন জৈশ ই মহম্মদ দ্বারা পরিচালিত হত বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে। বলে রাখা ভাল, ২০০১ সালে ভারতে সংসদ হামলার মূল চক্রী ছিলেন এই মাসুদ আজহার।
সূত্রের খবর, বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গি শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মাসুদ আজহারের। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অত্যন্ত গোপনে মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানেই আকাশ পথে নিঁখুত হামলা চালায় ভারত। সূত্রের খবর, ভারত যে জায়গায় হামলা চালিয়েছে সেটি জৈশের সদর দফতরের চৌহদ্দির মধ্যেই ছিল। বছরের পর বছর ধরে এই জঙ্গি ঘাঁটিতেই পাকিস্তানের সেনা কর্তা, পাক গোয়েন্দা বাহিনীর সহযোগীরা এবং চরমপন্থী পাকিস্তানি মৌলবীরা একজোট হয়ে ভারত বিরোধী চক্রান্ত সাজাতেন বলে খবর। গত কয়েক মাস ধরেই জনসমক্ষে সেভাবে দেখা যায়নি মাসুদ আজহারকে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে এই বাহাওয়ালপুরেই শেষবার প্রকাশ্যে দেখা মিলেছিল এই জঙ্গি নেতার। এর পর থেকেই তাঁর গতিবিধির উপরে নজর রাখছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবির পাশাপাশি বিশ্বস্ত সূত্র মারফত পাওয়া খবরে ভারতীয় গোয়েন্দারা নিশ্চিত ছিলেন, উঁচু পাঁচিল ঘেরা বাহাওয়ালপুরে জৈশের সদর দফতরের ওই চৌহদ্দির মধ্যেই অবস্থান ছিল মাসুদ আজহারের।
গোয়েন্দাদের কাছে আরও খবর ছিল, মাসুদ আজহারের সঙ্গে তাঁর ছেলেকেও নিয়মিত ওই জায়গায় দেখা যাচ্ছিল। নতুন জঙ্গি নিয়োগের দায়িত্বে ছিল মাসুদ আজহারের ছেলে। বিভিন্ন সময়ে উস্কানিমূলক ভাষণ দিতেও দেখা শোনা গিয়েছে তাকে৷
এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, অপারেশন সিঁদুরের পর মাসুদ আজহার কি জীবিত রয়েছেন? এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে হামলার সময় মাসুদ আজহার ওই জায়গাতেই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন